পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়-পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে
আপনি কি, পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক? আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আজকের এই আর্টিকেল আমরা পর্তুগাল
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায় এবং বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়
- পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়
- পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করার নিয়ম
- পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে
- পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং হতে কতদিন সময় লাগে
- পর্তুগালে যেতে কত টাকা লাগে
- বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে কত সময় লাগে
- পর্তুগাল কোন কাজের চাহিদা বেশি
- পর্তুগাল কোন কাজের বেতন বেশি
- পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
- লেখকের মন্তব্যঃ পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়
অনেকেই পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানার জন্য
গুগলে সার্চ দিয়ে থাকেন।মূলত তাদের জানানোর উদ্দেশ্যেই আমাদের আজকের এই
পোস্টটি। পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হচ্ছে পর্তুগালের কাজের ভিসা। আপনি
যদি বাংলাদেশ থেকে কাজের জন্য পর্তুগাল যেতে চান তাহলে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট
ভিসার মাধ্যমে যেতে হবে। প্রথমে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন
করতে হবে। আবেদন করার আগে পর্তুগালে কাজের অফার লেটার সংগ্রহ করতে হবে।
অফার লেটার পাওয়ার জন্য জনপ্রিয় জব পোর্টাল ওয়েবসাইটে চাকরির জন্য আবেদন
করতে হবে।সেখান থেকে আপনি অফার লেটার পেয়ে গেলে আপনাকে দূতাবাস থেকে জানিয়ে
দেওয়া হবে। তারপর আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আপনি
নিজে নিজে আবেদন করতে পারেন অথবা কোন বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে
পারবেন। আপনি যদি নিজে নিজে আবেদন করেন তাহলে আপনার খরচ কম হবে এবং
আপনি যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে চান সেক্ষেত্রে এজেন্সি আপনার সাথে
চুক্তিবদ্ধ হবে। চুক্তি অনুযায়ী আপনাকে সে পরিমাণ টাকা পরিশোধ করতে
হবে। তাহলে তারা আপনার ভিসার জন্য আবেদন করে দিবেন।বাংলাদেশে পর্তুগাল
দেশটির কোন দূতাবাস নেই। তাই অন্যান্য দেশের তুলনায় এই দেশটিতে যেতে আপনার
খরচ তুলনামূলক বেশি হবে। এবং আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে গিয়ে আপনাকে
ভিসা প্রসেসিং করতে হবে। আশা করি আপনি পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করার নিয়ম
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে প্রথমে আপনাকে এর ভিসার জন্য আবেদন করতে
হবে। তবে আবেদন করার জন্য কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে যেগুলো মেনে আপনাকে আবেদন
করতে হবে।পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে প্রথমে আপনাকে এর
অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। ওয়েবসাইটে ঢুকলে আপনি আবেদন ফরম
দেখতে পাবেন।
আবেদন ফরমের দুই পাশের প্রতিটি ঘর দেখে শুনে সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে
হবে। কোন ঘর বাদ দেওয়া যাবে না। এবং আপনার সকল তথ্য জাতীয় পরিচয়
পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী দিতে হবে। আপনার সকল তথ্য দেওয়া হয়ে
গেলে আপনাকে পুনরায় চেক করে নিতে হবে যাতে কোন তথ্য ভুল না হয়। কোন
তথ্য আপনি দিতে ভুলে গেলে অথবা
কোন তথ্য ভুল দিলে আপনার ভিসা প্রসেসিং হতে অনেকদিন পর্যন্ত সময় লাগতে
পারে। তাই আবেদন ফরম পূরণ করার সময় অবশ্যই দেখে শুনে ও সঠিক তথ্য দিয়ে
পূরণ করবেন। এই আবেদন আপনি নিজে করতে পারবেন অথবা কোন বিশ্বস্ত এজেন্সির
মাধ্যমে করতে পারবেন। পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করার জন্য এই
লিংকে ক্লিক
করুন।
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে
অনেক ভাই ও বোন যারা পর্তুগাল ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তারা জানতে
চান পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে সে
সম্পর্কে। তাদেরকে জানানোর উদ্দেশ্যে আমাদের আজকের এই পোস্টটি। আপনিও
যদি এ সম্পর্কে জেনে না থাকেন তাহলে আপনি আর্টিকেলের এই অংশটুকু মনোযোগ সহকারে
পড়তে থাকুন।
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে আপনাকে এর ভিসার জন্য আবেদন করতে
হবে। আবার ভিসার জন্য আবেদন করতে গেলে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের প্রয়োজন
হয়। পর্তুগাল পারমিট ভিসা আবেদন করতে গেলে যে সকল কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় তার
একটি তালিকা নিজে দেওয়া হলো-
- বৈধ পাসপোর্ট (কমপক্ষে ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে)
- চাকরির অফার লেটার
- পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- জন্ম নিবন্ধন সনদ
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
- কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট
- টিন সার্টিফিকেট (যদি প্রয়োজন হয়)
- মেডিকেল রিপোর্ট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
আপনি বৈধভাবে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে গেলে আপনার এ সকল
কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। তাই আবেদন করার সময় এ সকল কাগজপত্র আপনার সাথে
রাখবেন। এবং আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে গেলে এই কাগজগুলো নিয়ে
যাবেন।
এ কাগজপত্রগুলো ছাড়াও যদি আরো কোন তথ্য অথবা কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়
সেক্ষেত্রে আপনি দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আর কোন কাগজপত্রের
প্রয়োজন হলে তারা আপনাকে জানিয়ে দিবে। আশা করি আপনি পুরো বিষয়টি বুঝতে
পেরেছেন।
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং হতে কতদিন সময় লাগে
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার পর ভিসাটি প্রসেসিং করা হয়ে
থাকে। প্রসেসিং করার সময় দেখা হয় আপনি যে সকল তথ্য এবং কাগজপত্র জমা
দিয়েছেন সেগুলো সঠিক কিনা এবং সকল কাগজপত্র আবেদনকারীর কিনা সেটা নিশ্চিত
হয়। আপনি যদি আবেদন করার সময় সকল কাগজপত্র সঠিকভাবে জমা দিয়ে থাকেন এবং
সকল তথ্য সঠিক দিয়ে থাকেন
তাহলে আপনার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং হতে ৭থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত সময়
লাগতে পারে। এই সময়ের মধ্যে আপনি ভিসা হাতে না পেয়ে থাকলে আপনাকে
দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তবে আপনার কাগজপত্রের জটিলতা থাকলে আপনার
সময় আরো বেশি লাগতে পারে। অল্প সময়ের মধ্যে ভিসা প্রসেসিং হয়ে
গেলেও
ইন্টারভিউ এর জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে অনেক বেশি সময় লেগে থাকে। ইউরোপের
দেশগুলোতে যেতে হলে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারের জন্য অনেকদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে
হয়। আশা করি আপনি পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসের মধ্যে কতজন সময় লাগে
সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে
অনেকেই পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে সার্চ দিয়ে
থাকেন। তাদের জানানোর উদ্দেশ্যেই আমাদের আজকের এই পোস্টটি। আপনি
পর্তুগাল যেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই পর্তুগালে যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে
জানতে হবে। পর্তুগাল যেতে কত টাকা খরচ হবে সেটা নির্ভর করে আপনার ভিসার
ক্যাটাগরি ভিসার মেয়াদ এর উপর।
আরো পড়ুনঃ ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়
এই দেশটির ভিসার দাম অন্যান্য ইউরোপদেশের তুলনায় তুলনামূলক কম হয়ে থাকে এবং
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালের ভিসা পাওয়ার রেশিও অনেক বেশি হয়ে থাকে। বর্তমানে
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে প্রায় ৫ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত লেগে
থাকে। তবে ভিসার ক্যাটাগরি ও মেয়াদের উপর নির্ভর করে এই খরচ কম বেশি হতে
পারে। তবে আপনি যদি নিজে নিজে ভিসার জন্য আবেদন করেন এবং ভিসা প্রসেসিং এর
কাজ নিজে নিজে করতে পারেন
তাহলে আপনার এই খরচ হবে। আর যদি আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন
এবং ভিসার প্রসেসিং করে থাকেন তাহলে আপনার খরচ তুলনামূলক আরও বেশি হতে পারে।
আরেকটি দুঃসংবাদ হচ্ছে বাংলাদেশে পর্তুগালের কোন দূতাবাস নেই। তাই ভিসা প্রসেসিং
করার জন্য আপনাকে ভারতে যেতে হবে। এবং সেখান থেকে আপনাকে ভিসা প্রসেসিং করতে
হবে। আশা করি আপনি পুরো বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে কত সময় লাগে
অনেক ভাই ও বোন কৌতুহল বসত অনেক সময় প্রশ্ন করে থাকেন যে বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল
যেতে কত সময় লেগে থাকে। আপনিও যদি এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলের এই
অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল নন স্টপ
ফ্লাইটে যেতে সর্বোচ্চ ৫ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে ননস্টপ
ফ্লাইট না হলে আপনাকে আট থেকে দশ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
তবে বিমান এয়ারলাইন্স অনুযায়ী এ সময় কম বেশি হতে পারে। তবে বেশিরভাগ
ক্ষেত্রে এই সময়ের ভেতরেই বিমান আসা যাওয়া করে থাকে। আশা করি আপনি
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে কত সময় লাগে সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। নিচে
আমরা পর্তুগাল কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে সে সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনি
যদি সেই বিষয়ে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।
পর্তুগাল কোন কাজের চাহিদা বেশি
অনেক ভাই ও বোন বিশেষ করে যারা কাজের ভিসার মাধ্যমে পর্তুগাল যেতে চান তারা জানতে
চান পর্তুগালে কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে। আপনিও যদি ওয়ার্ক পারমিট
ভিসার মাধ্যমে বা কাজের ভিসার মাধ্যমে পর্তুগালে যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এ
দেশ টিতে থেকে কোন কাজে চাহিদা বেশি রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ
আপনি যদি পর্তুগালে যে কাজগুলোর চাহিদা বেশি রয়েছে
সে কাজগুলোর উপর দক্ষতা ও দক্ষতা অর্জন করার পর ওয়ার্ক পারমিট ভিসার
মাধ্যমে পর্তুগালে যান তাহলে আপনি যাওয়ার প্রথম থেকেই অনেক বেশি পরিমাণ
টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ছাড়া
পর্তুগালে যান সে ক্ষেত্রে আপনি প্রথমে তেমন কোন টাকা ইনকাম করতে পারবেন
না। পর্তুগালের কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে সে কাজগুলোর তালিকা নিচে
দেওয়া হল-
- ড্রাইভিং
- ফুড ডেলিভারি ম্যান
- রোড ক্লিনার
- হোটেল ও রেস্টুরেন্ট কর্মী
- ইলেকট্রিশিয়ান
- মেকানিক্যাল
- প্লাম্বার
- কনস্ট্রাকশন
- আইটি সেক্টর ইত্যাদি
পর্তুগাল কোন কাজের বেতন বেশি
অনেক ভাই ও বোন পর্তুগালে কোন কাজের বেতন বেশি সে সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে
সার্চ করে থাকেন। আপনিও যদি এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায়
এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই অংশে আমরা পর্তুগাল কোন কাজের চাহিদা বেশি সে
সম্পর্কে আলোচনা করব।আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে পর্তুগাল যেতে
চান
তাহলে অবশ্যই আপনাকে পর্তুগালে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন বেশি সে
সম্পর্কে জানতে হবে। পর্তুগালে সাধারণত সব ধরনের কাজ রয়েছে। কিছুই এমন
কাজ রয়েছে যেগুলোতে বেতন অনেক কম হয়ে থাকে। আবার এমন কিছু কাজ রয়েছে যেগুলোতে
বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া যেতে কত টাকা লাগে
আপনি যেহেতু টাকা ইনকাম করার জন্য যাবেন তাই যে কাজগুলোর বেতন বেশি দেওয়া হয় সে
কাজগুলোর উপর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে যাবেন। কাজের উপর আপনার দক্ষতা ও
অভিজ্ঞতা থাকলে পর্তুগাল যাওয়ার প্রথম মাস থেকেই আপনি প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম
করতে পারবেন। পর্তুগালে যে কাজগুলোর বেতন বেশি দেওয়া হয় তার তালিকা নিচে
দেওয়া হল-
- ইলেকট্রিশিয়ান
- ফুড ডেলিভারি ম্যান
- ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ
- আইটি সেক্টর
- প্লাম্বার
- মেকানিক্যাল
- কন্সট্রাকশন
- RAC ডিপার্টমেন্ট ইত্যাদি
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ ঢাকা থেকে পর্তুগাল পর্যন্ত বিমান ভাড়া কত টাকা?
উত্তরঃ ঢাকা থেকে পর্তুগাল যেতে বিমান ভাড়া প্রায় ৭০ হাজার টাকা থেকে দুই
লাখ টাকা হয়ে থাকে।তবে বিমান এয়ারলাইন্স অনুযায়ী এই ভাড়া পরিবর্তন হতে
পারে।
প্রশ্নঃ ঢাকা থেকে পর্তুগালের দূরত্ব কত কিলোমিটার?
উত্তরঃ ঢাকা থেকে পর্তুগালের দূরত্ব ৯ হাজার ৪৭ কিলোমিটার
প্রশ্নঃ টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে?
উত্তরঃ টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে পর্তুগাল যেতে প্রায় তিন থেকে ছয় লক্ষ টাকা
পর্যন্ত লেগে থাকে।
প্রশ্নঃ পর্তুগালের ভিসা প্রসেসিং হতে কতদিন পর্যন্ত সময় লেগে থাকে?
উত্তরঃ পর্তুগালের ভিসা প্রসেসিং হতে সর্বোচ্চ ১৫ দিন পর্যন্ত সময় লেগে
থাকে। তবে আপনার কাগজপত্রের কোন জটিলতা থাকলে 30 থেকে 45 দিন পর্যন্ত সময়
লাগতে পারে
প্রশ্নঃ পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত টাকা?
উত্তরঃ পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অর্থাৎ কাজের ভিসার দাম প্রায় ৮ থেকে
১০ লক্ষ টাকা হয়ে থাকে। তবে ভিসার মেয়াদের উপর ভিসার দাম কম বেশি হতে
পারে।
লেখকের মন্তব্যঃ পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়, ভিসার
জন্য আবেদন করার নিয়ম, পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে, সেই দেশে কোন কাজের
চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন বেশি দেওয়া হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে
আলোচনা করেছি। আপনার যদি পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসার সম্পর্কে আরো কিছু
জানার থাকে তাহলে আপনি কমেন্ট বক্সে বলতে পারেন। আপনার প্রশ্নের আমরা যথাযথ
উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।
আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে
ধন্যবাদ।এরকম আরো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংক্রান্ত তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের
সাথে থাকুন। আশা করি আজকে এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত
হয়েছেন। আজকের এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার
করে দিন। যাতে করে তারা উপকৃত হতে পারে। আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন। আল্লাহ
হাফেজ।
