ইউরোপে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার নতুন নিয়ম ২০২৫


সারাবিশ্বে দক্ষ কর্মীর চাহিদা বাড়ছে, বিশেষ করে ইউরোপে এই চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ২০২৫ সালে ইউরোপীয়  দেশগুলো দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমিক দের জন্য নতুন নিয়মে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিচ্ছে।


ফিচার ইমেজ ০১ 


সঠিক গাইডলাইন ও নির্দেশনা মানলে সহজেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়। ২০২৫ সালে বেশ কয়েকটি দেশ ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় পরিবর্তন এনেছে যা চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য জানা খুবই জরুরি।

ইউরোপ যেতে যে বিষয়গুলো আপনার জানা প্রয়োজন



ইউরোপ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়

 ইউরোপের প্রত্যেকটি দেশের ওয়ার্ক পারমিট নীতি ভিন্ন। তাই ইউরোপের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনি কোন দেশে যাবেন, কোন পেশাই জাবেন, এবং কি ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করেছেন তার উপর নির্ভর করে। নিচের ধাপগুলো অনুসরন করলে সহজেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে পারেন।

১.  ইউরোপে চাহিদা সম্পন্ন কোনো পেশা নির্বাচন করা 
২.নিয়োগদাতার কাছ থেকে অফার লেটার গ্রহন করা
৩.ঐ দেশের সরকার অনুমোদিত ওয়েবসাইটে গিয়ে ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে জেনে নেওয়া 
৪.অনলাইন বা দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন জমা দেওয়া 

ইউরোপে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ধরন সমূহ

ইউরোপের বহুমুখী  শিল্পখাত  গুলোতে ব্যাপক কর্মী নিয়োগ দেওয়ায় বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের এসব দেশে কর্মসংস্থানের জন্য অনেক মানুষ যাবার জন্য আবেদন করছেন। তবে চাকরির ধরন না জানাই অনেকের চাকরি হচ্ছে না। সাধারনত ইউরোপে বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা রয়েছে। তবে নিচের কয়েকটি ধরন বেশ প্রচলিত ঃ

১. ইইউ ব্লু কার্ড ভিসাঃ এটি উচ্চ শিক্ষিত ও দক্ষ পেশাজীবীদের জন্য ইউরোপে স্থায়ীভাবে কাজের সুযোগ দেই 
২. জব সীকার ভিসাঃ এটি ইউরোপে প্রবেশ করে কাজ খোঁজার সুযোগ করে 
৩. স্কিল ওয়ার্ক ভিসাঃ অভিজ্ঞ পেশাজীবীদের কাজের সুযোগ দেই
৪.সিজনাল ওয়ার্ক ভিসাঃ কৃষি অথবা পর্যটন খাতে মৌসুমি কাজের জন্য এই ভিসা প্রদান করা হয়


ওয়ার্ক পারমিট পেতে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও কাগজপত্র 

 ইউরোপের অনেক দেশে কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামূলক। কাজের দক্ষতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে ইউরোপে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার সুযোগ বেড়ে যায়। এছাড়াও দুই থেকে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে চাকরি পাওয়া সহজ হয়।ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য একজন আবেদন কারির  নির্দিষ্ট কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয় যেমনঃ 

১. বৈধ পাসপোর্ট
২.শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র 
৩.নিয়োগকর্তার দেওয়া  অফার লেটার 
৪.পুলিশ ক্লিয়ারেন্স 
৫.মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট 
৬.পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ (যদি প্রয়োজন হয়) 
৭.ভাষা দক্ষতার প্রমাণ (যদি প্রযোজ্য  হয়)


কোন কোন দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া সহজ 


ইউরোপের প্রতিটি দেশের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নীতি ভিন্ন। কিছু দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য জটিলতা রয়েছে। আবার  কিছু দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নীতির প্রক্রিয়া শিথিল করা হয়েছে। যেসব দেশের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া সহজ সেই দেশগুলোকে নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলঃ

১.লিথুয়ানিয়াঃ শিল্পখাত এবং  নির্মাণ কাজ শ্রমিকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া অন্য দেশের তুলনায় সহজ
২.পর্তুগালঃ রেস্টুরেন্ট, ক্লিনিং, কেয়ারগিভার ইত্যাদি এ জাতীয় কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই  এ সকল যাবতীয় কাজের জন্য  ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নীতি প্রক্রিয়ার জটিলতা কম।
৩. পোল্যান্ডঃ সাধারণত শ্রমিক এবং ফ্যাক্টরির কাজের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া নীতি সহজ 
৪. রোমানিয়াঃ ড্রাইভার, কনস্ট্রাকশন, ওয়্যারহাউস ইত্যাদি কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া সহজ। 

  

 কোন কোন সেক্টরে কাজের সুযোগ সুবিধা বেশি? 

ইউরোপের দেশগুলো উন্নত হওয়ায় এবং বহুমুখী শিল্পখাতের জন্য সবার কর্মসংস্থানের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য হচ্ছে ইউরোপ । বর্তমানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে। তাই আপনি যদি ইউরোপে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ইউরোপের কোন দেশে কি ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে তা আপনাকে জানতে হবে। বর্তমানে ইউরোপে কোন ধরনের কাজের চাহিদা বেশি তা নিচে বলা হলো
 
বর্তমানে ইউরোপে ফুড ডেলিভারি সার্ভিস, উবার ড্রাইভার, ট্যাক্সি ড্রাইভার, কৃষি শ্রমিক, সিকিউরিটি গার্ড, রেস্টুরেন্ট ক্লিনার, হোটেল কর্মী, কনস্ট্রাকশন শ্রমিক, এবং শপিংমল কর্মী ইত্যাদি কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি এ সকল কাজে ইউরোপে যেতে চান তাহলে এসব কাজের জন্য দুই থেকে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে । তহলে আপনি সহজেই  কাজ পেয়ে যাবেন ।

 ২০২৫ সালের নতুন নিয়মাবলী সংক্ষেপে

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন