অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সম্পূর্ণ নিয়ম (২০২৬ আপডেট)
অনেকেই অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সম্পূর্ণ নিয়ম সম্পর্কে জানার জন্য গুগলের সার্চ করে থাকেন। তাদের জানার সুবিধার্থে আমাদের আজকের এই পোস্টটি। বিশেষ করে যারা ট্রেনে যাতায়াত করেন কিন্তু ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কিভাবে কাটতে হয়
সে সম্পর্কে জানেন না তারা আমাদের এই পোস্টটি পড়ে সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনি যদি অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সম্পূর্ণ নিয়ম সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি পড়ে আপনিও অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সম্পূর্ণ নিয়ম
- অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সম্পূর্ণ নিয়ম-2026
- ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
- রেল সেবা অ্যাপস এর মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
- বিকাশ অ্যাপস এর মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
- অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সুবিধা ও অসুবিধা
- অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
- লেখকের মন্তব্যঃ অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সম্পূর্ণ নিয়ম (২০২৬ আপডেট)
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সম্পূর্ণ নিয়ম-2026
অনেক ভাই ও বোন অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে জানতে
চান। আপনিও যদি এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায়
এসেছেন। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আমরা অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সম্পূর্ণ
নিয়ম-2026 সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনি আর্টিকেলের এই অংশটুকু
মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
আমরা আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজের জন্য বিভিন্ন সময় ট্রেনে ভ্রমণ করে
থাকি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে যাত্রীর প্রচুর ভিড়ের কারণে আমরা অনেক
সময়ই ট্রেনের টিকিট পায় না, যার ফলে অনেক সময় আমাদেরকে কাউন্টার থেকে
ঘুরে আসতে হয়। এই সমস্যার সমাধানের জন্য আপনি আপনার ভ্রমণের কয়েকদিন আগেই
ট্রেনের টিকিট কাটতে পারেন।
এতে আপনার যেমন সময় অপচয় হবে না ঠিক তেমনি ট্রেনের টিকিট কাটতে গিয়ে আপনাকে
সমস্যার ভিতরে পড়তে হবে না। বাংলাদেশ অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার বেশ
কয়েকটি মাধ্যম রয়েছে।যেগুলো ব্যবহার করে আপনি সহজেই অনলাইনে ট্রেনের টিকিট
কাটতে পারবেন। সেই মাধ্যমগুলো হল-
- ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটা
- রেল সেবা অ্যাপস এর মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটা
- বিকাশ এপস এর মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটা ইত্যাদি।
উপরের এই তিনটি মাধ্যম অনলাইনে ট্রেনের জন্য খুবই জনপ্রিয়। এই তিনটি মাধ্যম
দিয়ে কিভাবে সহজেই ট্রেনের টিকিট কাটা যায় সে সম্পর্কে আমরা আর্টিকেলের বাকি
অংশ আলোচনা করব। আপনি যদি সে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পুরো আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত
হবেন। নিচে আমরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে
আলোচনা করব। সে সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
অনেকেই ট্রেনের টিকিট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কিভাবে কাটতে হয় সে সম্পর্কে জানার
জন্য গুগলের সার্চ দিয়ে থাকেন। তাদের জানার সুবিধার্থে আমাদের আজকের এই
পোস্টটি। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম জানার আগে আপনাকে কোন
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট কাটতে হবে সে সম্পর্কে জানতে
হবে। বাংলাদেশে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য ই সেবা
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকিট কাটতে হবে।
এর জন্য প্রথমে আপনাকে ই সেবার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে
হবে। তারপর আপনাকে ওয়েব সাইটে সাইন ইন করতে হবে। অথবা আপনার নাম gmail
address, phone number ইত্যাদি দিয়ে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে
হবে। রেজিস্ট্রেশন করার জন্য এই তথ্যগুলো বাধ্যতামূলক। আরেকটি কথা না
বললেই না রেজিস্ট্রেশন করার সময় অবশ্যই আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী সকল
তথ্য প্রদান করতে হবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী আপনি যদি তথ্য না দেন তাহলে রেজিস্ট্রেশন
ভেরিফিকেশনের সময় আপনার সমস্যা হবে এমনকি আপনার রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যেতে
পারে।তাই আপনি এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন থাকবেন। রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে গেলে তারপর
আপনি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে
ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য আপনাকে আপনার আসনের ধরন, যাত্রার স্থান, যাত্রার
শেষ গন্তব্যস্থল, যাত্রার সময়, টিকিটের ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে
হবে।
এই বিষয়গুলি নির্বাচন করা হয়ে গেলে আপনি ট্রেনের সময়সূচী এবং আপনার ভ্রমণের
দিন স্টেশন থেকে কোন কোন ট্রেন ছাড়বে সে বিষয়ে গুলো আপনি দেখতে
পাবেন। তারপর আপনি ট্রেনের কোন টিকিটগুলো এখন বিক্রি হয়নি সেটির উপর ক্লিক
করবেন। তাহলে আপনাকে সেই আসনের ভাড়া কত টাকা সেটি দেখতে পাবেন। তারপর
আপনি purchase লেখার উপর ক্লিক করলে আপনার একাউন্ট থেকে ট্রেনে যাতায়াতের
সময় পরিমাণ ভাড়ার টাকা কেটে নিবে।
তারপর আধা ঘন্টার মধ্যে আপনার জিমেইল আইডিতে ট্রেন কর্তৃপক্ষ আপনার টিকিট পাঠিয়ে
দিবে।তারপর সেই টিকিটটা আপনি ডকুমেন্ট আকারে ডাউনলোড করে নিবেন। ট্রেনের
ভেতরে টিকিট চেক করার সময় আপনার ফোনের ডাউনলোড করার টিকিটটি আপনাকে দেখাতে হবে।
আপনি যদি দেখাতে ব্যর্থ হন তাহলে আপনাকে আইনিভাবে জরিমানা প্রদান করতে
হবে। আমি নিজেও এবং আমার বেশ কয়েকজন বন্ধু দূরে কোথাও গেলে আমরা ট্রেনে
ভ্রমণ করে থাকি। সেক্ষেত্রে আমরা ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কেটে থাকি।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া যেতে কত টাকা লাগে
এতে আমাদের কষ্ট করে আর কাউন্টারে যেতে হয় না। মাত্র কয়েক মিনিটের মাধ্যমে আমরা
ঘরে বসে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারে। আশা করি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে
কিভাবে ট্রেনের টিকিট কাটতে হয় এবং ওয়েবসাইটে কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয় সে
সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। নিচে আমরা রেল সেবা অ্যাপস এর মাধ্যমে কিভাবে ট্রেনের
টিকিট কাটতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি সে সম্পর্কে জানতে
চাইলে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।
রেল সেবা অ্যাপস এর মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
রেল সেবা অ্যাপস এর মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে অনেক ভাই ও বোন
জানতে চান।আপনিও যদি এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায়
এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই অংশে আমরা রেল সেবা অ্যাপস এর মাধ্যমে ট্রেনের
টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। রেল সেবা অ্যাপস এর
মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটতে হলে আপনাকে প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপসটি
ডাউনলোড করতে হবে।
ডাউনলোড করা হয়ে গেলে অটোমেটিক ইন্সটল হয়ে যাবে। এই অ্যাপসটি ইন্সটল করা
হয়ে গেলে আপনাকে এই অ্যাপস এর উপর ক্লিক করে এর ভিতরে ঢুকতে
হবে। এবং আপনাকে এই অ্যাপসটিতে রেজিস্ট্রেশন করতে
হবে। রেজিস্ট্রেশন না করলে আপনি কখনোই টিকিট কাটতে পারবেন
না। অ্যাপসটিতে রেজিস্ট্রেশন করতে হলে কিছু ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন হবে।
রেজিস্ট্রেশন করতে গেলে সে সকল কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে তার তালিকা দেওয়া
হলো-
- আপনার নাম
- জিমেইল এড্রেস
- ফোন নাম্বার
- ইউনিক পাসওয়ার্ড
- জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্ম তারিখ
- আপনার জিমেইলে ভেরিফিকেশন কোড আসলে সেটি দিতে হবে
এই সকল তথ্যগুলো দিয়ে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এবং আপনাকে
সকল তথ্য আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী দিতে হবে। না হলে আপনার
রেজিস্ট্রেশন ভেরিফিকেশন হবে না। তাই আপনি এ ব্যাপারে সচেতন
থাকবেন। রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে গেলে সেখানে আপনার প্রোফাইল সম্পূর্ণ করতে
বলবে। সেখানে আপনি যে তথ্যগুলো চাইবে সেগুলো দিয়ে আপনার প্রোফাইল সম্পূর্ণ
করে নেবেন।
তারপর আপনার অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে গেলে সেই অ্যাপসটিতে আপনি লগইন
করার মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য আপনার
আসনের ধরন, যাত্রার স্থান, যাত্রার শেষ গন্তব্য স্থল, যাত্রার
সময়সূচি, টিকিটের ক্যাটাগরি ইত্যাদি নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচন করা হয়ে
গেলে কোন টিকিটগুলো এখনও বিক্রি হয়নি সেগুলো আপনি দেখতে পাবেন।
তারপর আপনি সেগুলোতে ক্লিক করলে আপনার আসনের ভাড়া কত টাকা তা দেখতে পাবেন।
তারপর আপনার সামনে purchase লেখা অপশন আসবে। সেখানে ক্লিক করলে আপনার ভাড়ার
সমপরিমাণ টাকা আপনার একাউন্ট থেকে কেটে নিবে। এবং ৩০ মিনিটের মধ্যে আপনার
জিমেইল একাউন্টে ট্রেনের টিকিট দিয়ে দিবে। সে টিকিটটি আপনি আপনার ফোনে
ডাউনলোড করে রাখবেন।
টেনে ভ্রমণের সময় আপনার কাছে টিকিট দেখতে চাইলে সেই ছবিটি দেখিয়ে
দিবেন। ছবিটি দেখাতে ব্যর্থ হলে আপনাকে জরিমানা প্রদান করতে হবে। আশা
করি আপনি পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।নিচে আমরা বিকাশ এপস এর মাধ্যমে ট্রেনের
টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। সে সম্পর্কে জানতে চাইলে শেষ
পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
বিকাশ অ্যাপস এর মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
বর্তমানে বেশিরভাগ লোক বিকাশ অ্যাপস ব্যবহার করে থাকেন। তাই ট্রেনের টিকিট
কাটার জন্য এই অ্যাপসটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এবং এই অ্যাপসটির
মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটা অনেক সহজ। বিকাশ অ্যাপস এর মাধ্যমে ট্রেনের
টিকিট কাটতে হলে প্রথমে আপনাকে বিকাশ অ্যাপস এ প্রবেশ করতে হবে। তারপর
আপনাকে কোথায় টিকিট আইকনটি সো করছে সেটি দেখতে হবে।
তারপর আপনাকে টিকিট আইকন থেকে ট্রেন নির্বাচন করতে হবে। তারপর সেখানে আপনি ই
টিকিট লেখা অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে আপনাকে ক্লিক করতে হবে। তারপর
সেখানে আপনার আসনের ধরন, যাত্রা স্থান, যাত্রার শেষ গন্তব্য
স্থল, টিকিটের সংখ্যা, টিকিটের ক্যাটাগরি, টিকিটের সময়সূচী
ইত্যাদি নির্বাচন করতে হবে। তাহলে আপনি আপনার আসনের ভাড়া কত টাকা সেটা
দেখতে পাবেন।
সেখান থেকে আপনি টিকিট কাটতে চাইলে purchase লেখার উপরে ক্লিক করতে
হবে। সেখানে ক্লিক করলে আপনার বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট অথবা ই সেবা
অ্যাপস এর মাধ্যমে নিবন্ধন করতে বলবে। তবে আপনার পূর্বেই নিবন্ধন করা থাকলে
এই অপশনটি আসবে না। নিবন্ধন করা না থাকলে অবশ্যই আপনাকে নিবন্ধন করে নিতে
হবে। নিবন্ধন করা না থাকলে আপনি কখনোই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন না।
তারপর নিবন্ধন করা হয়ে গেলে আপনার একাউন্ট থেকে সমপরিমানার ভাড়ার টাকা কেটে
নিয়ে আপনার জিমেইল একাউন্টে ট্রেনের টিকিট পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ৩০ মিনিটের
মধ্যে আপনি টিকিট হাতে পেয়ে যাবেন। সেই টিকিট আপনার ফোনে ডাউনলোড করে
রাখবেন।পরবর্তীতে ট্রেনে ভ্রমণের সময় সেই টিকিট আপনাকে দেখাতে হবে। আশা করি
বিকাশ অ্যাপসের মাধ্যমে কিভাবে ট্রেনের টিকিট কাটতে হয় সে সম্পর্কে জানতে
চেয়েছেন।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সুবিধা ও অসুবিধা
অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার যেমন সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনি বিপরীত দিকে এর
সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অনলাইন এর মাধ্যমে আপনি ট্রেনের টিকিট কাটলে আপনাকে
কাউন্টারে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হবে না। তবে আপনাকে ট্রেনের টিকিট ছয়
থেকে সাত দিন আগে কাটতে হবে। অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার আরো একটু সুবিধা
হচ্ছে আপনার সময় অপচয় হয় না। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনার টিকিট কাটতে
পারেন।
তবে যেহেতু টিকিট টি আপনাকে ছয় থেকে সাত দিন আগে কাটতে হয় সে
ক্ষেত্রে যদি আপনার উক্তদিনে যাওয়া না হয় সেক্ষেত্রে আবার টিকিট ক্যানসেল করতে
হয়। এখানে আরও একটি বিষয় হচ্ছে টিকিট বাতিল করতে গেলে আপনাকে দুই দিন আগে
বাতিল করতে হবে। তাহলে আপনি টিকিট ক্রয়ের সম্পূর্ণ টাকা পাবেন। আর যদি
আপনি 12 থেকে 48 ঘন্টা সময়ের মধ্যে বাতিল করেন সেক্ষেত্রে আপনার টিকিট ক্রয়ের
২৫ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া হবে।
আবার আপনি যদি ১২ ঘন্টার কম সময়ে টিকিট বাতিল করে দেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে
রিফান্ড কোন টাকা প্রদান করা হবে না। তাই আপনাকে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট
কাটার আগে পূর্ব পরিকল্পনা করে তারপরে টিকিট কাটতে হবে। তাই বলা যায়
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার যেমন সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনি কিছু অসুবিধা
আছে। আশা করি আপনি ট্রেনের টিকিট কাটার সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বুঝতে
পেরেছেন।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ বাংলাদেশ রেল সেবার হেল্পলাইন নাম্বার কত?
উত্তরঃ বাংলাদেশ রেল সেবার হেল্পলাইন নাম্বার হল 131
প্রশ্নঃ অনলাইনে কত ঘন্টা আগে ট্রেনের টিকিট বুকিং করা যায়?
উত্তরঃ অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বুকিং করতে হলে কমপক্ষে ট্রেন ছাড়ার
নির্ধারিত সময়ের ৪ ঘন্টা আগে বুকিং করতে হবে।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশে ট্রেনের টিকিট কাটার ওয়েবসাইট কোনটি?
উত্তরঃ বাংলাদেশ ট্রেনের টিকিট কাটার ওয়েবসাইট হচ্ছে esheba.cnsbd.com
প্রশ্নঃ ট্রেন ছাড়ার কত ঘন্টা আগে ট্রেনের টিকিট বাতিল করা যায়?
উত্তরঃ ট্রেন ছাড়ার ৪৮ ঘন্টা আগে ট্রেনের টিকিট বাতিল করলে টিকিট ক্রয়ের
সমস্ত টাকা ফেরত পাবেন।
প্রশ্নঃ ট্রেন ছাড়ার কত ঘন্টা আগে টিকিট বাতিল করলে টাকা ফেরত পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ ট্রেন ছাড়ার ১২ থেকে ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত সময়ের ট্রেনের টিকিট বাতিল
করলে আপনার টিকিট ক্রয়ের ২৫ পার্সেন্ট টাকা কম পাবেন। আর আপনি যদি 48 ঘন্টা
আগে ট্রেনের টিকিট বাতিল করে দেন সেক্ষেত্রে আপনি টিকিট ক্রয়ের পুরো ভাড়া পেয়ে
যাবেন।
লেখকের মন্তব্যঃ অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সম্পূর্ণ নিয়ম (২০২৬ আপডেট)
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সম্পূর্ণ নিয়ম,
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ও এপস এর মাধ্যমে কিভাবে অনলাইনে টিকিট কাটতে হয় সে
সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আপনার যদি অনলাইনে ট্রেনের টিকিট
কাটার ব্যাপারে কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে
পারেন। আমরা আপনার প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব
ইনশাল্লাহ।
আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে
ধন্যবাদ। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। এরকম
আরো ভ্রমণ সম্পর্কিত তথ্যবহুল আর্টিকেল পেতে আমাদের
PRO TECH TUTOR ওয়েবসাইটের সাথে
থাকুন। আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।


