সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে

সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে আপনি যদি এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি পড়ুন। আপনি যদি স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে সকালে খালি

সকালে-খালি-পেটে-কি-খেলে-ওজন-বাড়ে


 পেটে সঠিক খাবার গ্রহণ করতে হবে। তাই আপনি সকালে খালি পেটে খাওয়ার জন্য কোন খাবারগুলো আপনার খাদ্য তালিকায় রাখবেন এবং তা কি পরিমান খেতে হবে সে সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে

সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে 

অতিরিক্ত ওজন যেমন স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায় ঠিক তেমনি  স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন কম হলে শরীরের উপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়ে।ওজন বাড়ানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে সুষম খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায় ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনাকে সকালে প্রোটিন জাতীয় খাবার ও ফলমূল জাতীয় খাবার বেশি বেশি করে খেতে হবে। ওজন বৃদ্ধি করার জন্য যে সকল খাবারগুলোতে প্রোটিন বেশি পাওয়া যায় সেই খাবারগুলোর তালিকা নিচে বর্ণনা করা হলো।

দুধঃ শরীরের প্রায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান দুধে পাওয়া যায়। দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-১২ এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে। ভিটামিন বি-১২ রক্ত তৈরিতে এবং রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে এবং ক্যালসিয়াম  শরীরের হাড় ও দাঁত  মজবুত রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায় যা আপনার ওজন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা রাখে। তাই আপনি ওজন বাড়াতে চাইলে আপনার খাদ্য তালিকাই অবশ্যই দুধ যুক্ত করবেন। 

কলাঃ কলা অনেক পুষ্টিকর একটি খাবার এবং এতে অনেক বেশি পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে। আপনি প্রতিদিন খালি পেটে এক থেকে দুইটা কলা খেলে আপনার প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হওয়ার পাশাপাশি আপনার ওজন বাড়াতে সহায়তা করবে। এছাড়াও কলায় ভিটামিন বি-৬ রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে ফাইবার রয়েছে যা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। 


বাদামঃ ওজন বাড়ানোর জন্য বাদাম আপনার সকালের একটি ভালো নাস্তা হতে পারে। আপনি যেকোনো ধরনের বাদাম খেতে পারেন যেমন কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম, চিনা বাদাম ইত্যাদি। বাদামে অনেক ধরনের মিনারেল ভিটামিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও ফাইবার রয়েছে। আপনি যদি রাতে বাদাম ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেই বাদাম খান তাহলে আপনার প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হওয়ার পাশাপাশি আপনার ওজন বৃদ্ধিতে যথাযথ ভূমিকা পালন করবে।

আলু ও তিলের বীজঃ আলু ও তিলের বীজে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। শরীরের প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি করার জন্য আপনি নিয়মিত আলু ও তিলের বীজ খেতে পারেন। আলু ও তিলের বীজ খেয়ে আপনি দ্রুত সময়ে ওজন বাড়াতে পারবেন। তবে তিলের বিজ খাবারটি  অল্প পরিমাণে খেতে হবে কারণ বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে।

 ১৫ দিনে ওজন বাড়ানোর উপায়

আপনি যদি ১৫ দিনে ওজন বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। ১৫ দিনে ওজন বাড়ানোর জন্য আপনার খাদ্য তালিকায় বেশি বেশি প্রোটিন খাবার যোগ করতে হবে। বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবারের তালিকায় রয়েছে বাদামের মাখন ও দুধ। এছাড়া দুধের সাথে খেজুেরর মিশ্রণ করে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কারণ খেজুরে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি ও ফাইবার ইত্যাদি প্রোটিন প্রচুর থাকে।

অন্যদিকে দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম,আয়রন,ভিটামিন বি-১২,ফসফরাস,ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন ডি থাকে। এই দুটির মিশ্রণ একসাথে খেলে আপনার দেহের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি ওজন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও আপনি যদি দুই থেকে তিন ঘন্টা পর পর ৩০-৪০ গ্রাম বাদামের মাখন ও এক গ্লাস করে দুধ 15 দিন নিয়মিত খান তাহলে আপনার ওজন বৃদ্ধি হওয়া শুরু করবে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে পনেরো দিনে ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন।  

কোন ভিটামিন জাতীয় খাবার খেলে ওজন বাড়ে

আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে কোন ভিটামিন জাতীয় খাবার খেলে ওজন বাড়ে। আসলেই যারা চিকন ও পাতলা মানুষ রয়েছেন তারা এই ওজন বাড়ানো নিয়ে খুব চিন্তিত থাকেন। আজকে আমরা সেই সকল প্রিয় ভাই ও বোনের জন্য কোন ভিটামিন জাতীয় খাবার খেলে ওজন বাড়ে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনার যদি এরকম সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন।

চলুন জেনে নিই কোন ভিটামিন জাতীয় খাবার খেলে ওজন বাড়ে সেই সম্পর্কে। আপনি যদি খুব দ্রুত ওজন বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে চর্বিযুক্ত মাছ ও ভিটামিনযুক্ত খাবার প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। আপনি হয়তো বা জেনে থাকবেন যে সূর্যের আলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এই সূর্যের আলো থেকে পাওয়া ভিটামিন ডি ওজন বাড়াতে বেশ সহায়তা করে। সূর্যের আলোতে  ভিটামিন ডি পাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য খাবার ও গ্রহণ করতে হবে।

তাহলে আপনার ওজন খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো আপনি নিয়মিত খেলে আপনার ওজন খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। যেমন বাদামের মাখন, পনির, আখ, কিসমিস, খেজুর ইত্যাদি এই জাতীয় খাবার নিয়মিত খেলে আপনার ওজন খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও আপনার ওজন বৃদ্ধি করার জন্য পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, এবং ক্যালরিযুক্ত খাবার প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। 

আপনি যদি এই খাবারগুলো নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে আপনার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। তবে আপনার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি করতে সবচেয়ে কার্যকরী উপাদান হচ্ছে ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি ছাড়াও আপনার খাদ্য তালিকায় শর্করা জাতীয় খাবার রাখতে হবে। কারণ  ওজন বৃদ্ধি করতে হলে আপনাকে শর্করা জাতীয় খাবার খেতেই হবে। আপনি উপরের ভিটামিন যুক্ত খাবারের সাথে শর্করাযুক্ত খাবার নিয়মিত খেলে আপনার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

ভেজানো কিসমিস খালি পেটে খেলে কি ওজন বাড়ে

আমাদের শরীরের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করতে কিসমিস গুরুত্বপূর্ন  ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনি যদি রাতে ঘুমানোর আগে একটা গ্লাসে কিছুটা পরিমাণ কিসমিস ভিজিয়ে রাখেন এবং ঘুম থেকে উঠার পরে সেই কিসমিস যদি আপনি পানিসহকারে খান তাহলে আপনার শরীরের দুর্বলতা খুব তাড়াতাড়ি কেটে যাবে। এবং আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে তাহলে  নিয়মিত ভেজানো কিসমিস খেলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

এছাড়াও কিসমিস খেলে এন্টিবায়োটিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল হয়। প্রতিদিন নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে রক্তের বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া খুব তাড়াতাড়ি দূর হয়ে যায়। এছাড়া কিসমিস খাওয়ার ফলে মানুষের মাথার চুল পড়ার  সমস্যা দূর হয়। তবে ভেজানো কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা আরো বেশি পাওয়া যায়। নিয়মিত কিসমিস খেলে আমাদের শরীর সতেজ এবং তরতাজা দেখায়।

যার কারণে আমাদের অনেকটাই ফর্সা দেখায় এছাড়াও নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের মুখের ব্রণের দাগ দূর করে। তাই আপনি যদি আপনার মুখের পরিবর্তন আনতে চান এবং শরীর সতেজ রাখতে চান ও ওজন বাড়াতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় কিসমিস রাখবেন। আপনি যদি আপনার ওজন আরো বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে  সারারাত কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে  এবং সকালে খালি পেটে পানি সহ কিসমিস খেয়ে নিতে হবে।

 এই ভেজানো কিসমিস খাওয়ার ফলে আপনার ওজন দ্রুত পাবে। কারণ আমরা যখন রাতের বেলা একটি পাত্রে কিসমিস ভিজিয়ে রাখি সেই কিসমিস সারারাত পানির সাথে ভিজে থাকার কারণে তার ভিতরের প্রায় 90% উপকরণ পানির সাথে মিশে যায় এবং সেটি মিশে যাওয়ার কারণে সেটি আপনি খাওয়ার পর খুব তাড়াতাড়ি আপনার শরীরে তার প্রক্রিয়াটি দেখা দেয়। কারণ আপনি যখন একটি কাঁচা কিসমিস খাবেন

তখন সেটি আপনার পেটের ভিতরে গিয়ে প্রসেসিং হওয়ার পর ক্যালরি উৎপন্ন হয়। কিন্তু আপনি যখন ভেজানো  কিসমিস খাবেন তখন এটি আবার পরপরই আপনার শরীরে কার্যকারিতা দেখা দিবে। কারণ পানি পান করার সাথে সাথে তা হজম হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়াটি খুব তাড়াতাড়ি হয় তাই ভেজানো কিসমিস খেলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি এর কার্যকারিতা উপভোগ করবেন। প্রিয় পাঠকগন আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে খালি পেটে কিসমিস খেলে ওজন বাড়ে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া ওজন বাড়ানোর উপায়

আমাদের দেশে সঠিক মানের সুষম খাবারের অভাবে অনেক মানুষের স্বাস্থ্য খুবই চিকন ও পাতলা হয়ে থাকে। এই চিক ও পাতলা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক জায়গায় হতে পারে। এই থেকে মুক্তির জন্য অনেকেই মোটা হতে চান। এখন আমরা জানবো কোন খাবার গুলো খেলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া ওজন বাড়ানো যায়। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া ওজন বাড়ানোর জন্য যেসব খাবার খেতে হবে তা নিচে বর্ণনা করা হলো। 

খিচুরিঃ খিচুড়িতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট থাকে। খিচুড়ি তৈরীর জন্য যে উপাদানগুলো রয়েছে তাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এসিড ও ক্যালরিযুক্ত করে। যা খেলে আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিন এর চাহিদা পূরণ করে এবং শরীরের শক্তি যোগায় ও ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। খিচুড়ি রান্নার জন্য যেহেতু শাকসবজি দেওয়া হয় তাই একে সুষম খাবারো বলা হয়। যেহেতু সবজি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করা হয় তাই এটি খাওয়ার ফলে কোনরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়ায় আপনি ওজন বাড়াতে পারবেন।

ডিমঃ ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ক্যালরি রয়েছে। এটি আপনার শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। ডিম এমন একটি খাদ্য যা কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই আপনাকে শক্তিশালী ও মোটা করবে। ডিমের হলুদ অংশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে  ক্যালরি। যা আপনার দেহকে মজবুত ও শক্তিশালী করে তুলবো। ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। যা আপনার শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।

শাকসবজি ও ফলমূলঃ শাকসবজি ও আঁশ জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে। শাকসবজি নিয়মিত খেলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায় ও সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে। এছাড়া বিভিন্ন ফলমূল যেমন আম, আঙ্গুর, আপেল, কলা, কমলা, বেদানা ইত্যাদি ফলমূল খেলে শরীরে যেমন শক্তি বৃদ্ধি পায় ঠিক তেমনি শরীরের ওজন বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট ভূমিকা রাখে।

দুধ আর মধুঃ গরুর দুধে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি রয়েছে। যা আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি৩, আয়োডিন, কপার, জিংক ও ক্যালরি । যা নিয়মিত খেলে আপনার ওজন বৃদ্ধি করবে। এটি নিয়মিত সকালে খালি পেটে খেলে ওজন বাড়াতে ও মোটা হতে সাহায্য করে। নিয়মিত দুধ ও মধু খেলে আপনি আপনার শরীরের দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

ভিটামিন সিরাপ খেলে কি ওজন বাড়ে

ভিটামিন সিরাপ খাওয়ার আগে জানতে হবে আপনাকে কি কারনে আপনার ওজন কমে যাচ্ছে। সেই বিষয়ে  ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপনি সিরাপ খাবেন। আপনার যদি শারীরিক কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে তার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাবেন। ব্যক্তিগত সমস্যা তার দূর হয়ে গেলে তারপরে আপনি ওজন বাড়ানোর জন্য সিরাপ খেতে পারেন। 

আপনি সিনকারা সিরাপ,  রুচিবেট সিরাপ  এই সিরাপ গুলো খেলে আপনার রুচি বেড়ে যাবে এবং আপনি যদি বেশি খাবার খেতে পারেন তাহলে আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। এছাড়াও আপনি অ্যাপিলন সিরাপ ও  পিউটন সিরাপ খেতে পারেন। এই সিরাপ গুলো মূলত আপনার মুখের রুচি বাড়াবে। ফলে আপনি বেশি খাবার খেতে পারবেন। যা আপনার ওজন বাড়ানোর জন্য খুবই প্রয়োজন।

খেজুর খেলে কি ওজন বাড়ে 

খেজুর খেলে অবশ্যই  মানুষের ওজন বাড়ে, কেউ যদি নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণ অনুযায়ী খেজুর খায় তাহলে সে মোটা হতে পারে না। কিন্তু অবশ্যই সে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবে। কারণ খেজুরে অনেক পুষ্টি উপাদান যেমন প্রাকৃতিক চিনি  ও ফাইবার থাকে। এতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি না থাকায় এটি আপনাকে মোটা হতে সাহায্য করে না। কিন্তু খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি থাকায় এতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।

তাই আপনি যদি অধিক পরিমাণে খেজুর খান তাহলে আপনার ওজন বাড়বে কিন্তু আপনি মোটা হবেন না এছাড়াও খেজুরে রয়েছে, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মত খনিজ উপাদান। যা আপনার দাঁতের মাড়ি ও হাড় মজবুত রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও খেজুরে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকায় আপনি যদি নিয়ম করে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ খেজুর খান তাহলে অবশ্যই আপনার ওজন বাড়বে।

ওজন বাড়ানোর জন্য যেভাবে ব্যায়াম করা দরকার 

ওজন বাড়ানোর জন্য ব্যায়ামের বিকল্প নেই। ওজন বাড়ানোর জন্য সবচাইতে ভালো ব্যায়াম হচ্ছে  স্ট্রেংথ ট্রেনিং ব্যায়াম। এ ধরনের ব্যায়াম করার ফলে শরীরের মাংসপেশী বৃদ্ধি পায়। এ ধরনের ব্যায়াম করার জন্য জিমে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। ঘরে বসে জিমের কোন উপকরণ ছাড়াই এ ধরনের ব্যায়াম করা যায়। অনেকে ভাবতে পারেন যে ব্যায়াম করলে শরীর থেকে শক্তি অথবা ক্যালরি শেষ হয়ে যায়  তাই ওজন বাড়ানোর জন্য ব্যায়াম করা হয়তো ভালো না কিংবা ওজন বাড়ানোর জন্য ব্যায়ামের দরকার নেই।

এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ওজন বাড়ানোর সময়েও নিয়মিত ব্যায়াম করতে হয় তাহলে আপনার অতিরিক্ত ক্যালরি খাওয়ার পরে শরীরে চর্বি জমা জমার কোন সম্ভাবনা থাকে না। আর আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম না করেন তাহলে অতিরিক্ত ক্যালরি খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে চর্বি জমে যাবে। যার ফলে আপনি বিভিন্ন রোগের সম্মুখীন হবেন কারণ অতিরিক্ত চর্বি জমার ফলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই ওজন বাড়ানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে  নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

দ্রুত ওজন বৃদ্ধির ৪ টি গোপনীয় ট্রিক্স

দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য সকালে খালি পেটে খাওয়ার জন্য কিছু কার্যকরী খাবার রয়েছে। সেসব খাবার খাওয়া ওজন বৃদ্ধির জন্য খুবই কার্যকর। আপনি যদি দ্রুত ওজন বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে। অতিরিক্ত  ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে চর্বি জমতে পারে তাই আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। এছাড়াও দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য এমন কিছু খাবার রয়েছে যা আপনি প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে আপনার শরীর ঠিক থাকবে ওজন বাড়বে এবং আপনাকে সুস্থ রাখবে। চলুন জেনে নিই দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য বিশেষ খাবার গুলো কিভাবে খাবেন তার চারটি গোপনীয় ট্রিকস সম্পর্কে।

শসা ও খেজুরঃ সকালে খালি পেটে শসা ও খেজুর একসাথে মিশিয়ে খেলে দ্রুত মোটা হওয়া যায়। নিয়মিত শসা ও খেজুর একসাথে খেতে পারলে আপনার শরীরের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন। শসাই প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে যা খেলে আপনার ত্বককে সতেজ রাখে।শসা এবং খেজুর উভয়েরই পুষ্টিগুণ থাকায় এদের উপকারিতা অনেক।

খেজুরে রয়েছে প্রোটিন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ও ভিটামিন। যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতি 100 গ্রাম খেজুরে প্রায় ২৮২ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। ইসলামে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়ার জন্য শসা ও খেজুর একসাথে মিশিয়ে খেতে বলা হয়েছে। তাই আপনি যদি শসা ও খেজুর একসাথে মিশিয়ে প্রতিদিন নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ খেতে পারেন তাহলে আপনি দ্রুত ওজন বাড়াতে পারবেন এবং সু স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবেন।

ছোলাঃ আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়মিত ছোলা খান তাহলে আপনার দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করবে। ছোলা একটি সহজলভ্য পণ্য। এবং এটি অল্প দামে পাওয়া যায়। ছোলা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। ছোলাতে ক্যালোরি, প্রোটিন ও ভিটামিন বি ৬ রয়েছে। যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও ভিটামিন সি, ও পটাশিয়াম হৃদরোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে মোটা হওয়ার জন্য খুব উপকারী।

মধুঃ সকালে খালি পেটে খাওয়ার জন্য বিশেষ ও কার্যকরী একটি খাবার হচ্ছে মধু। মধু প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি  একটি বিশেষ খাবার যা খেলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে এবং আমাদের দেহের ওজন বাড়াতে ভূমিকা রাখে। এটি দেহে প্রোটিন ও প্রাকৃতিক শর্করা সরবরাহ করে। প্রতিদিন খালি পেটে মধু খেলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পাই এবং দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আপনি চাইলে এটি এক গ্লাস দুধের সাথে মিক্স করে মিল্ক সেক তৈরি করে খেতে পারেন।

কলার মিল্কসেকঃ কলার মিল্কসেক আপনি যদি সকালে খালি পেটে খান তাহলে এটি আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। কলার মিল্কসেক বানানোর জন্য এক থেকে দুইটি কলা নিন এবং এক গ্লাস দুধে ব্লেন্ড করে মিশিয়ে নিন। আপনি চাইলে এতে সামান্য পরিমাণ কাজুবাদাম বা মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে এর পুষ্টিগুণ আরো বৃদ্ধি পাবে। প্রতিদিন সকালে নিয়মিত এটি খেলে আপনার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি করে এবং আপনাকে স্বাস্থ্যবান হতে সাহায্য করবে।

শেষ কথা/ লেখকের মন্তব্য   

ওজন বৃদ্ধি করার জন্য সকালের শুরুতেই পুষ্টিকর জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। কলা, ডিম, দুধ, খেজুর, ছোলা,  আমিষ ও শর্করা জাতীয় পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তাহলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পাবে। এসব খাবার শরীরে শক্তি প্রদান করে এবং ধীরে ধীরে আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি  ঘটাই। এসব খাবার আপনি নিয়মিত খেলে আপনার দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পাবে।

আমার মতে, শুধু খাবার খাওয়া যথেষ্ট না এর পাশাপাশি আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে এবং সুষম খাদ্যাভাস গড়ে তুলতে হবে। এভাবে নিয়মমাফিক অনুযায়ী জীবনযাত্রা অনুসরণ করলে আপনি একজন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবেন। আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন