মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করবো। মরিঙ্গা পাউডার বিভিন্ন ভিটামিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হয় এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
সাধারণত প্রতিদিন আধা থেকে এক চামচ মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া নিরাপদ এবং উপকারী। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম পানি সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীরের টক্সিন বের হয়ে যায় এবং হজম শক্তি ভালো হয়। আপনি চাইলে জুস, সুপ, ডাল বা তরকারিতে মিশিয়ে খেতে পারে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম
- মরিঙ্গা পাউডার এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- মরিঙ্গা পাউডার কখন খেতে হয়
- ত্বকের যত্নে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম
- মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার উপকারিতা কি
- মরিঙ্গা পাউডারের পুষ্টিগুণসমূহ
- কোন কোন রোগের জন্য মরিঙ্গা পাউডার বেশি উপকারী
- মরিঙ্গা পাতা ও ডাটা খাওয়ার নিয়ম
- মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে প্রশ্ন-উত্তর (FAQ)
- শেষ কথাঃ মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম না জেনে আপনি যতই মরিঙ্গা পাউডার সেবন করেন না
কেন এক্ষেত্রে আপনার উপকারিতা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম।
অনেকেই মরিঙ্গা পাউডার সকালে খালি পেটে খায়। তবে এটি আসলেই একটি ভুল
প্রথা। কারণ সকালে খালি পেটে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার ফলে পেটে নানা রকম সমস্যা
হতে পারে। বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের জন্য এটি আরো অধিকার।
পাউডার পরিমাণ মতো সেবন করা তা না হলে উপকারে যে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি হতে পারে।
প্রতিদিন মরিঙ্গা পাউডার তিন থেকে চার চামচের বেশি গ্রহণ করা উচিত নয়। আপনি যদি
এই মরিঙ্গা পাউডারটি বাড়িতে বানান তাহলে সর্বোচ্চ চার চামচ গ্রহণ করবেন এবং যদি
একটু অনলাইন বা বাজার থেকে কিনেন তাহলে এক থেকে দুই চামচের বেশি গ্রহণ করা উচিত
হবে। কারণ অনলাইন বা বাজারে যে সকল মরিঙ্গা পাউডার পাওয়া যায় সেগুলো আরো
আকর্ষণীয় বেশি দিন সংরক্ষণ করে থাকার জন্য কেমিক্যাল ব্যবহার করে থাকে।
আরো পড়ুন ঃ পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
মরিঙ্গা পাউডারে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ থাকলেও খেতে তেমন ভালো না। তাই সুস্বাদু
করার জন্য আপনি মধুবালেবুর রস যোগ করতে পারেন। মধু ও লেবুর রস যোগ করার পরিমাণ
হতে হবে ২৫০ মিলিগ্রাম অথবা এক থেকে দুই ফোটা লেবুর রস। তবে এক্ষেত্রে
লক্ষ্য রাখবেন যে মধু ও লেবুর রস যেন একসাথে না দেন এর ফলে গ্যাস্ট্রিক হতে পারে।
এছাড়াও দ্রুত ও ভালো ফলাফল পেতে গরম পানির পরিবর্তে গরম দুধের সাথে মনিকা পাউডার
সেবন করতে পারেন।
মরিঙ্গা পাউডার খেলে কি হয়
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় যেমন
কোলেস্টরেলের মাত্রা কমায়, প্রদাহ কমায়, রক্তের শর্করার মাত্রা কমায়, লিভার
সুরক্ষিত রাখে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, রক্তচাপ কমায়, এজমা নিরাময় করে,
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে ইত্যাদি। নিয়মিত মরিঙ্গা পাউডার খেলে বিশেষ করে LDL
এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। এটি হার্টের জন্য ক্ষতিকারক নিয়মিত মরিঙ্গা পাউডার খেলে
রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায় যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
এছাড়াও রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতেও মরিঙ্গা পাউডার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে। এটি শর্করার মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে এবং শরীরের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মরিঙ্গা পাউডারে প্রদাহ বিরোধী উপাদান
থাকে যা দেহের যেকোনো ধরনের প্রদাহ উপশম করতে সাহায্য করে। মরিঙ্গা
পাউডার পাকিস্তানি সমস্যা নিরাময় করে। এটি পাকস্থলীর ক্ষতিকারক এসিড ধ্বংস করে
এবং পেটের সমস্যার সমাধানের সাহায্য করে। এছাড়াও এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকোঠিন্য
সমস্যা দূর করে।
মরিঙ্গা পাউডার তৈরি করার নিয়ম
মরিঙ্গা পাউডার তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনাকে মরিঙ্গা পাতা সংগ্রহ করতে হবে।
পাতাগুলো কেড়ে নেওয়ার পর ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে। এটি একটি শুষ্ক
প্রক্রিয়া যার জন্য মনোযোগ প্রয়োজন। পাতাগুলো একটি পাতলা স্তরে ছড়িয়ে দেওয়া
হয় সাধারণত শুকানোর জন্য এবং সূর্য থেকে দূরে রাখা একটি ভালো বাতাসবাহী জায়গায়
রাখা হয়। আদ্রতার মাত্রা এবং তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে শুকানোর সময়কাল কয়েক
ঘন্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত হয়।
পাতাগুলো শুকানো হয়ে গেলে পাতলা করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। পাউডার
তৈরি হয়ে গেলে বাতাস থেকে দূরে রাখতে হবে। এমন কোন জায়গায় রাখতে হবে
যেখানে বাতাস ঢুকতে না পারে। এইভাবে মরিঙ্গা পাউডার অনেকদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা
যায় এবং এটি গরম পানি, দুধ বা বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়। এটি
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, শরীরের শক্তি যোগানো এবং চুল ত্বকের জন্য উপকারী
হিসেবে পরিচিত।
মরিঙ্গা পাউডার এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সাধারণত মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার যেমন পার্শ্বপ্রতি ক্রিয়া থাকে না তবে
অতিরিক্ত মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া হলে কি সমস্যা তৈরি হয়। আপনি যদি ব্লাড প্রেসার
এর ওষুধ খান তাহলে মরিঙ্গা পাউডার না খাওয়াই ভালো। কারণ মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার
পর প্রেসার এমনিতেই কমে যায়। প্রেসারের ওষুধের সাথে খাওয়া হলে স্বাভাবিকের থেকে
বেশি মাত্রায় প্রেসার ড্রপ করবে যা স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। অতিরিক্ত খাওয়ার
ফলে হজম প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে।
মরিঙ্গা পাউডার বেশি পরিমাণে খেলে বমি ভাব, অস্থিরতা ও পেটের নানা ধরনের সমস্যা
সৃষ্টি করতে পারে। গর্ভকালীন সময়ে আমাদের অনেক কিছু থেকে সতর্ক থাকতে হয়।
সাধারণত মরিঙ্গা বাধার সাথে যে ডালগুলো থাকে তার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো
শরীরের প্রবেশ করলে ইমিউনিটি সিস্টেমের ক্ষতি করে এ কারণে বিশেষজ্ঞগণ গর্ভকালীন
সময় মরিঙ্গা পাতা খেতে নিষেধ করে।
আরো পড়ুন ঃ তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
মরিঙ্গা পাউডার রক্তের শর্করা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখে। তবে অন্যান্য
ওষুধ বাদ দিয়ে খালি মরিঙ্গা পাড়া খেলে কোন ফল পাওয়া যাবে না কারণ এটি
সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করে প্রতিষেধক হিসেবে নয়। অতিরিক্ত মরিঙ্গা পাতা
খেলে শরীরের হজম ক্রিয়া বেড়ে যায় যা পেটের বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে দিনে ৭০ গ্রামের বেশি মরিঙ্গা পাউডার খেলে ভিটামিন ও মিনারেল
উপাদানের সাথে বিক্রিয়া করে বিষাক্ত করে ফেলতে পারে।
মরিঙ্গা পাউডার কখন খেতে হয়
যে কোন উপাদান যতই পুষ্টি গুণাগুণ থাকুক না কেন আপনি যদি সঠিক সময়ে এটি সেবন না
করেন তাহলে কখনোই ভালো ফল পাওয়া যাবে না। সাধারণত মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার সঠিক
সময় বলা হয় সকাল কারণেই সময় শরীর সবচেয়ে বেশি সচল থাকে এবং সকল পুষ্টি উপাদান
ভালোভাবে শোষণ করতে পারে। আপনি চাইলে যে কোন সময় খেতে পারেন তবে সঠিক সময় খেলে
সবচেয়ে ভালো ফলাফল পাবেন।
সকালে খাবার পরে মরিঙ্গা পাতা খাওয়ার সবচেয়ে উত্তম। কারণ এ সময় শরীরের সবচেয়ে বেশি সচল থাকে তাই মরিঙ্গা পাউডারের সকল পুষ্টিগণ শোষণ করতে পারবে। তাছাড়া দুপুরে বাড়াতে খাবারের পরে মরিঙ্গা পাউডার খেতে পারে। যদি আপনার গ্যাস্ট্রিক বা অস্বস্তি ভাব হয় তাহলে মরিঙ্গা পাউডার খেতে পারেন। এছাড়াও ব্যায়াম করার আগে বা পরে মরিঙ্গা পাউডার খেলে শরীরে প্রোটিন ও মিনারেল থাকা এটি শরীরকে শক্তি দেয় এবং বেশি গঠনে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্নে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম
মরিঙ্গা পাউডারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বককে
দাগ হীনও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। মরিঙ্গার পাউডারে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,
ভিটামিন এবং খনিজ ত্বকের মৃত কোষগুলোকে সরাতে এবং নতুন পোস্ট তৈরিতে ভূমিকা
রাখে। এর ফলে তো দেখতে যেমন সুন্দর ঠিক তেমনি উজ্জ্বল হয়। ত্বকের যত্নে
মরিঙ্গা পাউডার ব্যবহারের বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। তবে চলুন জেনে নিই কিভাবে
মরিঙ্গা পাউডার ব্যবহার করবেন।
প্রথমে এক কাপ পরিমাণ গরম পানি করে নিতে হবে। এরপর গুপ্ত পানিতে দুই থেকে
তিন চামচ মরিঙ্গা পাউডার মেশাতে হবে। যদি আপনি কি সুস্বাদু করতে চান তাহলে একটু
মধু বা লেবুর রস যুক্ত করতে পারেন। কিন্তু চিনি বা চিনি জাতীয় কিছু দেওয়া যাবে
না। এভাবে সকালে অথবা বিকালে খাবার পর পান করতে হবে। যদি শরীরের ভালো যত্ন চান
তাহলে দুই থেকে তিন মাস নিয়মিত পান করতে হবে। এটি কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ছাড়া ত্বককে সুন্দর ও উজ্জ্বল করে তুলবে।
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার উপকারিতা কি
হরিঙ্গা পাউডার এক ধরনের প্রাকৃতিক সুপার ফুড। মরিঙ্গা পাউডারে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম ও
প্রোটিন থাকে। এইসব উপাদান শরীরের হিউমিনিটি সিস্টেম প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণ মরিঙ্গা পাউডার খেলে শরীর
থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয় এর ফলে রক্ত পরিষ্কার থাকে এবং শরীরের শক্তি ফিরে
আসে। এটি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
তাছাড়াও এটি কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে দীর্ঘমেয়াদী রোগ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।
চুল ও ত্বকের যত্নেও মরিঙ্গা পাতার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এতে থাকা
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এন্টি ইনফর্মেটরি উপাদান শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রদাহ কমায়
ফলে তো উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর হয়। এটি চুল পড়া কমায়, চুলের গোড়া মজবুত করে
এবং নতুন চুল বাজাতে সাহায্য করে। এছাড়াও মরিঙ্গা পাউডার হজম শক্তি উন্নত করে,
গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
আরো পড়ুন ঃ চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
মরিঙ্গা পাতা নিয়মিত খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। মরিঙ্গা পাতা
খাওয়ার ফলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং চর্মি জমার প্রক্রিয়াকে
বাধা প্রদান করে। মরিঙ্গা পাউডার এর চা খেলে সারাদিন শরীর সজীব ও সতেজ থাকে।
মরিঙ্গা পাউডার শরীরের ভেতর ও বাইরের দুই দিকই স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন নিয়ে
আসে। এসব উপকারিতার দ জন্য মরিঙ্গা পাউডারকে সুপারফুট বলা হয়।
মরিঙ্গা পাউডারের পুষ্টিগুণসমূহ
মরিঙ্গা পাউডারে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি ও খনিজ রয়েছে যা আমাদের শরীরকে সুস্থ
ও স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। মরিঙ্গা পাতা একটি প্রাকৃতিক ভেষজ। এটি কোন
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ থেকে রক্ষা করে।
এতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি রয়েছে যেগুলো আমরা অনেকেই জানিনা। তবে চলুন জেনে নিয়ে
মরিঙ্গা পাউডার এর মধ্যে কি কি পুষ্টিগণ রয়েছেঃ
- এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে পুরুষের শ্রেষ্ঠ স্তরন হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে
- প্রদাহ হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ শরীরের বিভিন্ন ব্যথা দূর করে
- পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা যেমন খাবার সহজ হজম না হওয়া, পেটে গ্যাস জমে থাকা জমে থাকা ইত্যাদি কমাতে সাহায্য করে
- হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে
- কোষ্ঠকোঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে
- মরিঙ্গা পাউডারে থাকা ভিটামিন এ এর কারনে চোখ ভালো রাখে
কোন কোন রোগের জন্য মরিঙ্গা পাউডার বেশি উপকারী
মরিঙ্গা পাতা ও ডাটা খাওয়ার নিয়ম
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে প্রশ্ন-উত্তর (FAQ)
প্রশ্নঃ মরিঙ্গা পাউডার খেলে কি হয়?
উত্তরঃ মরিঙ্গা পাউডার খেলে শরীরে পুষ্টি সমৃদ্ধ হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে,
প্রয়োজন নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে এবং চুল ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
প্রশ্নঃ মরিঙ্গা পাউডার কি ত্বক সাদা করার জন্য ভালো?
উত্তরঃ ত্বকের রং সমান করে, মরিঙ্গা পাউডার আপনার চেহারা উজ্জ্বল করতে পারে।
প্রশ্নঃ মরিঙ্গা পাতা কিভাবে খাবো?
উত্তরঃ মরিঙ্গা ভাটা স্বাধীনতা ১ চামচ হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে সকাল সন্ধ্যায়
খেতে হবে।
প্রশ্নঃ মরিঙ্গা পাউডার খেলে কি লম্বা হয়?
উত্তরঃ না, মরিঙ্গা পাউডার উচ্চতা বাড়ায় না তবে এটি হারকে মজবুত করে।
প্রশ্নঃ মরিঙ্গা পাউডার মুখে দিলে কি হয়?
উত্তরঃ মরিঙ্গা পাউডার মুখে দিলে ব্রণ এর ছিদ্র দূর করে এবং ত্বকে
উজ্জ্বল করে।
প্রশ্নঃ সজনে পাতা কি চুলে দেওয়া যাবে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, সজনে পাতা মাথায় দিলে কোন সমস্যা হবে না।
প্রশ্নঃ মরিঙ্গা পাতা কি চুল গজাতে সাহায্য করে?
উত্তরঃ হ্যাঁ অবশ্যই, মরিঙ্গা পাতা চুল গজাতে সাহায্য করে।
শেষ কথাঃ মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমি আর্টিকেলে বিস্তারিত
আলোচনা করেছি। মরিনা পাতা মরিঙ্গা পাউডার এর যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন কিছু
ক্ষতিকারক দিক রয়েছে। তাই সঠিক নিয়ম মেনে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া উচিত। যদি আপনি
এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করে থাকেন তবে সেই নির্দেশ অনুযায়ী খেলে আশা করি কোন
সমস্যা হবে না। আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্ট লিখা হয়। যদি
কোন প্রশ্ন থাকে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে বলবেন, ধন্যবাদ।


