বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর বলতে আমরা বুঝি সেই সব কাজ বাই স্কীল যেগুলো চাহিদা সবচেয়ে বেশি। প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং অনলাইন প্লাটফর্মের বিস্তীর্ণ ব্যবহারে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি জনপ্রিয় সেক্টর হিসেবে পরিচিত।

বর্তমানে-ফ্রিল্যান্সিং-এ-সবচেয়ে-ডিমান্ডেবল-সেক্টর-কোনটি

ফ্রিল্যান্সাররা এক ক্ষেত্রগুলোতে কাজ করে দ্রুত আয় করতে পারছে এবং দীর্ঘমেয়াদি একটি টেকসই ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারছে। তাই যারা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাদের জন্য সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর সম্পর্কে ধারনা গুরুত্বপূর্ণ।

পোস্ট সূচিপত্র ঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ সবচেয়ে ডিমানান্ডেবল সেক্টর কোনটি

ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর বর্তমান সময়ে অনেক তরুণ তরুণদের কাছে সফল ক্যারিয়ারের অন্যতম ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডিজিটাল যুগে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ছোট বড় সব ধরনের উদ্যোক্তা তাদের অনলাইন উপস্থিতি শক্তিশালী করতে ফ্রিল্যান্সারদের ওপর নির্ভর করছে। ফলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন ভিডিও এডিটিং, এমনকি এ আই টুলস ব্যবহার করে ডাটা এনালাইসিস কাজের চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।

কেবলমাত্র দুটো আ এর মাধ্যম নয়, বরং দক্ষতার ভিত্তিতে দীর্ঘ মেয়াদে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার সুযোগ তৈরি করে। যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তারা সহজ ডাটা এন্ট্রি বা এসিস্ট্যান্ড এর মত কাজ শুরু করে ধীরে ধীরে উন্নতি স্কিল যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে নিতে পারেন। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর সম্পর্কে।

আরো পড়ুন ঃঘরে বসে ইনকাম করার উপায়

আরেকটি বিষয় হলো প্রযুক্তি ও অনলাইন প্লাটফর্মের অন্যদের ফলে কাজের সুযোগ সীমাবদ্ধ কেবল একটি দেশে না বরং সারা বিশ্ব জুড়ে। একজন সহজে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে কাজ করে হাজার হাজার ডলার আয় করতে পারে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো ফ্রিল্যান্সিং এর ডিমান্ডেবল সেক্টরগুলোতে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা যত বাড়ে আয়ের সুযোগ তত বৃদ্ধি পায়। এজন্য নতুনরা যদি শুরুতেই সঠিক সেক্টর বেছে নিয়ে শিখতে শুরু করেন তাহলে তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি একটি সত্য ক্যারিয়ার গড়ে তোলা সম্ভব।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি

আপনি যদি কোন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ডিমান্ডেবল সব সেক্টর সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে প্রচুর কাজ রয়েছে আর সব কাজের ডিমান্ড সব সময় থাকে না। তবে কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো ডিমান্ড ফ্রিল্যান্সিং সব সময় থাকে। যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন , ওয়েব ডেভেলপমেন্ট আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদি। এই কাজগুলো ডিমান্ড ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সব সময় থাকে।

ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন কাজ হল ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং কাজটি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে। ডিজিটাল মার্কেট শেখার জন্য বাংলাদেশে অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের এই কাজগুলো শিখে থাকে। সেখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো শিখে দক্ষতা অর্জন করে টাকা উপার্জন করতে পারে। আপনি চাইলে এ কাজগুলো শিখে বড় বড় মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারেন।

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও লাভজনক পেশা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা ফ্রিল্যান্সিং কে সারা বিশ্বে আরো সহজ ও কার্যকর করে তুলেছে। বাংলাদেশের দিন দিন জনপ্রিয় উঠেছে এবং অনেক এই পেশায় নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ দেখছেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং এর সফল হতে চাইলে অবশ্যই জানতে হবে কোন কাজগুলো সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন।

ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টর সমূহ

ফ্রিল্যান্সিং কথাটির সাথে আমরা কম বেশ সবাই পরিচিত। ফ্রিল্যান্সিং হল এমন একটি স্কিল যাকে কাজে লাগিয়ে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করে আয় করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক মানুষই পেশাকে ফুল টাইম হিসাবে নিচ্ছে আবার কেউ চাকরির পাশাপাশি সময় নষ্ট না করে ফ্রিল্যান্সিং এ আয় করছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয় করতে হলে আপনাকে কিছু স্কুল অর্জন করতে হবে। এখন এই স্ক্রিল অর্জন করার জন্য বেশ সতর্ক থাকতে হবে।

আপনি যদি এমন কিছু নিয়ে কাজ করেন যার চাহিদা মার্কেটে খুবই কম তাহলে সেখান থেকে ভালো আই করার সম্ভব হবেনা। তাই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখার আগে আপনাকে সেই কাজগুলো শিখতে হবে যাতে মার্কেটপ্লেশে অনেক বেশি চাহিদা থাকে। সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন কয়েকটি সেক্টর আমি নিচে উল্লেখ করে দিলাম ঃ

  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • ডাটা এন্ট্রি
  • ভিডিও এডিটিং
  • আর্টিকেল রাইটিং 
  • ওয়েব ডিজাইন
উপরে উল্লেখিত কাজগুলোর ডিমান্ড বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সবচেয়ে বেশি। এসব কাজের জন্য বিশেষ দক্ষতা এবং সঠিক পরিশ্রম প্রয়োজন। নতুনদের জন্য সবচেয়ে সহজ হবে আর্টিকেল রাইটিং যেখান থেকে আপনি মাসে বেশ ভালো পরিমান আয় করতে পারবেন। স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় কিংবা পার্ট টাইম জব হিসেবেও এ কাজ করতে পারে। দিনে দুই থেকে তিন ঘন্টা সময় ব্যয় করে আপনি খুব সহজেই ইনকামের উত্তর তৈরি করতে পারেন।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সেক্টর

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বর্তমান বিশ্বে খুব জনপ্রিয় একটি পেশা। প্রায় প্রতিটি দেশে এই ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত মানুষকে এরিয়ার হিসেবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মত দক্ষ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। মূলত যারা ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করে তাদের বলা হয় ওয়েব ডেভেলপার। একজন সাধারণ মানের ওয়েব ডেভেলপার মাসে বেশ ভালো মানের একটা করে থাকে। তবে ওয়েব ডেভেলপার হওয়ার জন্য আগে আপনাকে সঠিক কাজ শিখতে হবে এবং ধীরে ধীরে সেক্টর হয়ে উঠতে হবে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে প্রথমে আপনাকে জেনে নিতে হবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট আসলে কি। আমরা প্রতিনিয়ত স্মার্টফোনে ওয়েবসাইট ব্যবহার করে থাকি। অনেকেই হয়তো জানেন ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম সহজে সকল সোশ্যাল মিডিয়া সাইডে নিজস্ব রয়েছে। তাছাড়া গুগলে কোন বিষয় সার্চ করলে অনেক ওয়েবসাইট এর আমাদের সামনে চলে আসে।

ইন্টারনেটে এত এত ওয়েবসাইট তা কিন্তু এমনি এমনি হয়নি কিংবা এগুলো নিজে পরিচালিত হচ্ছে না। এই ওয়েবসাইটগুলো তৈরি, ওয়েবসাইট আপডেট করা, করিনা চালনা করার যে কাজ মূলত তাই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। সুতরাং একজন ওয়েব ডেভলপার হিসেবে আপনার কাজ হতে পারে ওয়েবসাইট তৈরি ওয়েবসাইটের নিয়ন্ত্রণ করা, পরিচালনা করা, ওয়েবসাইট ডিজাইন করা সহ যাবতীয় সকল কাজ। তাহলে হয়তো বুঝতে পেরেছেন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট আসলে কি।

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি একজন ওয়েব ডেভলপার হলো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার থেকে শুরু করে ইন্টারনেটের লাইভ করা পর্যন্ত এবং সিকিউরিটি প্রদান করার কাজ করে থাকে। একজন ওয়েব ডেভলপার তার সুদৃশ্য কাজ ও দায়িত্ব গুলো ক্রাইম সাইড ক্লায়েন্ট সাইট, সার্ভার সাইট কোডিং, ফুল স্ট্যাক হিসেবে কাজ করছে কিনা তা নির্ভর করে ভিন্ন ভিন্ন কাজের উপর। সাধারণত একজন ওয়েব ডেভলপার এমন একটি পণ্য তৈরি করবে যার প্রতি ক্লায়েন্ট এবং গ্রাহকের বিশেষ চাহিদা থাকবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ভিজুয়াল কনটেন্ট ক্রিয়েশন

গ্রাফি ডিজাইন হল প্রযুক্তি ও শিল্পের মাধ্যমে ধারনা প্রকাশের ছবি, ফটোগ্রাফি এবং অন্যান্য ভিজুয়াল উপাদান ব্যবহার করে ডিজাইন তৈরি করার প্রক্রিয়া যা ভিজুয়াল কনটেন্ট ক্রিয়েশন এর একটি অংশ। হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং অন্যান্য মাধ্যমে তথ্য ও বার্তাগুলোকে দৃশ্যমান উপস্থাপন করা। এ দুটি ক্ষেত্র ডিজিটাল মার্কেটিং, বাইন্ডিং এবং তথ্যকে সহজ ও আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমান ডিজিটাল যুগে বেশিরভাগ অনলাইন কনটেন্ট ভিজুয়াল ফরমেটে দেখা হয়। যেখানে গ্রাফিক্স ডিজাইন বড় ভূমিকা রাখে। প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইন শুধু বিজ্ঞাপন বা পোস্টারে সীমাবদ্ধ নেই, ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া, অ্যাপ, প্যাকেজিং থেকে শুরু করে করপোরেট ব্র্যান্ডিং পর্যন্ত বিস্তৃত। সঠিক ডিজাইন ব্যবসা কে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখে কনভার্সন রেট বাড়ায় এবং দীর্ঘমেয়াদে ব্র্যান্ড লোয়ালিটি গড়ে তোলে।

একজন গ্রাফিক ডিজাইনের মূল উদ্দেশ্য হলো ভিজুয়াল উপায়ে তথ্য বা বাত্রা পৌঁছে দেওয়া. এর মাধ্যমে জটিল তথ্যকে সহজ ভাবে উপস্থাপন করা যায় যা এডিয়েন্সের জন্য দ্রুত বোধগম্য হয়। গবেষণায় দেখা গেছে মানুষ ভিজুয়াল কনটেন্ট কে টেক্সের চেয়ে ৬০ হাজার গুণ দ্রুত প্রক্রিয়া করতে পারে. এজন্য ব্যান্ডগুলো লোগো, বিজ্ঞাপন, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, প্যাকেজিং বা ওয়েবসাইটে গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহার করে বার্তা দ্রুত কার্যকর ভাবে পৌঁছে দেওয়া যায়.


একটা সময় এমন আসবে যখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরো নতুন নতুন বের হবে। আর ওই মেথডগুলোর সম্পূর্ণ গ্রাফিক্স ডিজাইন ওপর নির্ভরশীল হবে। এই সেক্টরে এক্সপার্ট হতে পারলে আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারেন। মার্কেটপ্লেসে কাজ করে আপনি চাইলে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন। তাই যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে ক্যারিয়ার দাঁড়ানোর কথা ভাবছেন তাদের জন্য আমি বলব নিঃসন্দেহে এটি একটি সঠিক সিদ্ধান্ত।

ডিজিটাল মার্কেটিং ও এসইও

ডিজিটাল মার্কেটিং মানে অনলাইনে পণ্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন প্রচার করাকে বুঝায়। এখন সেটা হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে, হতে পারে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে, হতে পারে ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে আবার এটাও হতে পারে ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে। আবার যারা ইলেকট্রনিক মিডিয়া যেমন টিভি। রেডিও ইত্যাদির মাধ্যমে প্রচার করাটা এক ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং।

বর্তমানে-ফ্রিল্যান্সিং-এ-সবচেয়ে-ডিমান্ডেবল-সেক্টর

বুঝতেই পারছেন আধুনিক বিশ্বে নিজেকে নিজের ব্যবসার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার বিকল্প নেই। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অপরিহার্য অংশ কারণ মানুষ এখন যে কোন পণ্য ক্রয় করার আগে ইন্টারনেটে ওই পণ্য সম্পর্কে জেনে বুঝে তারপর ক্রয় করে। তাছাড়া মানুষ এখন দোকানে ঘুরে ঘুরে না কিনে অনলাইন থেকে বেশিরভাগ কেনাকাটা করে থাকে। তাই যদি একজন ব্যবসায়ী হন তাহলে আপনার উচিত যে তার মাকে নিয়ে এর মাধ্যমে নিজের ব্যবসা কে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।

এবার আসি এসিও নিয়ে। এসইও আসলে কি বা কিভাবে কাজ করে? এই এসইও এর হল যে কোন ওয়েবসাইট খুঁজে খুঁজে দেখে কি আছে সেখানে। কনটেন্ট কেমন ছবি আছে কিনা লিংক কোথায় কি আছে সব ইনফরমেশন দ্বারা সংগ্রহ করে। এই ইনফরমেশন গুলো তারা তাদের বিশাল ডেটাবেজে জমা করে রাখে যাকে আমরা ইনডেক্সিং বলি। এরপর যখন কেউ গুগলের সার্চ করে তখন এই ইনডেক্স করা ডেটাবেজ থেকে google আমাদের সামনে নিয়ে আসে।

অন্যদিকে কনটেন্ট হলো এসইও এর রাজা। আপনার ওয়েবসাইটে যা কিছু আছে তার টেক্সট, ছবি, ভিডিও সকলেই হল কনটেন্ট। আর এস ই ও এর কোয়ালিটি কন্টেন্ট এর কোন বিকল্প নেই। গুগল মূল লক্ষই হল ব্যবহারিকদের কাছে সবচেয়ে সেরা এবং প্রাসঙ্গিক কন্টেন তুলে ধরা। আপনার কন্ঠে যদি ইনফরমেটিভ, এনগেজিং এবং ইউনিক না হয় তাহলে হাজার এসইও করলেও লাভ হবে না। আপনার কন্ঠের এমন হতে হবে যা মানুষ করতে চাই।

 ভিডিও এডিটিং ও অ্যানিমেশন

ভিডিও এডিটিং হলো এমন একটি পেশা যা সৃজনশীলতার পাশাপাশি একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে আকর্ষণীয় ভিডিওগুলো ৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বিক্রি বাড়ায় এবং এই ভিডিও তৈরি করার জন্য দক্ষ প্রয়োজন হয়। এটি হলো একটি স্কিল যা কোন ভিডিওকে গল্প এবং অনুভূতিতে রূপান্তর করে থাকে। সহজ কথায় ভিডিও এডিটিং হচ্ছে গল্পের প্রয়োজনে ধারণা করা ভিডিও ফুটেজ সম্পাদন করে সম্পূর্ণ গল্প পরিণত করা।

আমরা মুভিতে যে দৃশ্যগুলো দেখি আসলে সেগুলো ভিডিও এডিট করার পরে ফাইনাল লোক দেখা যায়। সাধারণভাবে ভিডিও এডিটিং বলতে ভিডিও কাট, ট্রিম ও ক্লিপসমূহ সিকোয়েন্স আকারে সাজিয়ে একটি পুনরাঙ্গ ভিডিওতে রূপান্তর করাকে বুঝায়। এছাড়া অ্যানিমেশন, কালার গ্রেডিং, প্রোডাকশন স্টরি রাইটিং ইত্যাদির এর অন্তর্ভুক্ত। মূলত রেকর্ডের পর একটিভ ভিডিওতে প্রাণ প্রদান করা একজন এডিটরের প্রধান কাজ। এ সময় ভিডিওতে কোন পরিবর্তন থেকে শুরু করে ভিডিও ও মিউজিক যুক্ত করা পর্যন্ত সকল একজন ভিডিও করে থাকে।

দেশে দক্ষ ভিডিও এডিটরের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এছাড়া ভিডিও এডিটিং জানা থাকলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে একজন হিসেবে কাজ করতে পারবেন। পাশাপাশি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে অনেক কাজ করা হয় যেখানে আপনি মাসে লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। পড়াশোনা বা অন্যান্য পেশার পাশাপাশি ভিডিও এডিটিং শিখে এ বিষয়ে নিযুক্ত আয়ের উৎস বাড়াতে পারে। বর্তমান সময়ে ভিডিও এডিটরদের প্রসার ও প্রচার দ্রুতগড়িতে বেড়েছে।

এই ভিডিও এডিটিং কে আপনি পেশা হিসেবে নিতে বেশ কিছু চিন্তা করে ধাপে ধাপে এগোতে হবে। যেমন ভিডিও এডিটিং পুরোপুরি ধৈর্যের একটি কাজ। আপনার আগ্রহ না থাকলে এ পেশায় আসা উচিত না। শেখার ক্ষেত্রে চট করে সফটওয়্যার দিয়ে শুরু করার আগের চেয়ে পড়াশোনা করে নেওয়া ভালো। পড়াশোনা এবং ভালোভাবে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা অন্যদের চেয়ে এক ক্ষেত্র আপনাকে অনেক এগিয়ে দেবে। সঠিক পরিশ্রম এবং ধৈর্য থাকলে এ কাজ আপনি খুব সহজেই শিখতে পারবেন।

ই-কমার্স স্টোর ম্যানেজমেন্ট

ই-কমার্স সফটওয়্যার এমন একটি টুল যার মাধ্যমে আপনার অনলাইন স্টোর টিকে খুব সহজে পরিচালনা করতে পারবেন। যেমন নতুন প্রোডাক্ট যোগ করা, কাস্টমার ম্যানেজমেন্ট, টেক্সট, অর্ডার ম্যানেজমেন্ট, ডেলিভারি সহ সবকিছু একসাথে করা যায়। একটি অনলাইন স্টোর শুরু করার জন্য যা যা প্রয়োজন সব কিছু এসব শেয়ারে রয়েছে। ছোট-বড় বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্নত মানের ই-কমার্স ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার প্রদান করে থাকে।

বর্তমান যুগে অনলাইনে সকল ধরনের কেনাকাটা থেকে শুরু করে খাবার ডেলিভারি পর্যন্ত সকল কাজ করা হয়। আর এই অনলাইন যুগকে সামনে রেখে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উদ্যোক্তার আগমন ঘটছে দেশের অনলাইন ব্যবসায়। এর মধ্যে অনেকেই যেমন নতুন নতুন কৌশল, সততা ও ধৈর্যের পথ অবলম্বন করে সফল হয়েছে ঠিক তেমনি বাজে কৌশল অবলম্বন অধৈর্যের কারণে অনেকে অনলাইন ব্যবসা করার আগে ঝরে গেছে। তাই অনেক সচেতন হয়ে এবং এটা সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা নিয়ে আগানো উচিত।
কি কমার্স ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমে একটি ওয়েবসাইট বা অনলাইন প্লাটফর্ম তৈরি করতে হবে যেখানে ফোনের ছবি ও বিস্তারিত তথ্য থাকবে। এরপর পণ্যের কার্যকর প্রচারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এসইও এবং ডিজিটাল বিজ্ঞাপন ব্যবহার করতে হবে। গ্রাহকের সুবিধা অনুযায়ী পেমেন্ট গেটওয়ে যুক্ত করা এবং সুষ্ঠু লজিস্টিক ও ডেলিভারি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরী। এর জন্য অবশ্যই পণ্যের ভালো মানের ছবি সঠিক বিবরণ এবং মূল্যের উল্লেখ থাকতে হবে।

ডাটা এন্ট্রি ও ডেটা ম্যানেজমেন্ট

ডাটা এন্ট্রি ও ডেটা ম্যানেজমেন্ট হল তথ্য প্রযুক্তি খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেখানে মূলত ডাটা সংগ্রহ, সংরক্ষণ, সংগঠিত এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার আকারে উপস্থাপন করা হয়। দাবা এনজয় বলতে বোঝায় কাঁচা তথ্য কম্পিউটার সিস্টেমে সঠিকভাবে প্রবেশ করেন যেমন নাম, ঠিকানা সংখ্যা, লেনদেনের হিসাব বাদ জরিপে তথ্য ইনপুট করা ইত্যাদি। অন্য দিকে ডাটা ম্যানেজমেন্ট হলো সেই করা ডাটা কে সাজানো, শ্রেণীবদ্ধ কর, যাচাই করা এবং সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে ব্যবহার করার প্রক্রিয়া।

এই খাট বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং ও কর্পোরেট উভয় ক্ষেত্রেই অত্যন্ত চাহিদা সম্পন্ন একটি সেক্টর। কারণ প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক, তথ্য বিক্রয় হিসাব, গবেষণা ফলাফল বা ব্যবসায়িক যেটা সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজন হয়। সঠিক ব্যাটা তুই ব্যবসায়িক বিশ্লেষণ সহজ করে এবং কার্যকর ম্যানেজমেন্ট ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সহায়তা করে।

বর্তমানে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে ডেটা ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এজন্য সঠিকভাবে ডাটা এন্ট্রি ও দক্ষ ডাটা ম্যানেজমেন্ট করলে প্রতিষ্ঠানগুলো সময় খরচ এবং সম্পদ সর্বোত্তম ব্যবহার। নিষ্ক্রিয়দান মার্কেটপ্লেস যে আপওয়ার্ক, ফাইবার বা ফ্রিল্যান্সার এ খাতের কাজের সুযোগ ব্যাপক এবং চাহিদা ভবিষ্যতে বাড়বে। এসব মার্কেটপ্লেসে এসব কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর মূল কাজ হল একটি ব্যবসাকে অনলাইনে প্রতিষ্ঠা করা। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতি নিয়ত লোকজন বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখে সেগুলো পর্যালোচনা করে এবং পণ্যকে কিনে। এখনকার মার্কেটিং বলা যায় রিয়েল টাইম মার্কেটিং। কখন কোন সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন ধরনের কনটেন্ট যাবে তা নির্বাচন করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার জন্য তিনটে থেকে চারটে প্ল্যাটফর্মে একসঙ্গে ব্যবসার উন্নতি নিশ্চিত করতে হবে।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর মূল কাজগুলো হল কনটেন্ট তৈরি করা এবং প্রকাশ করা, নির্দিষ্ট সময়ে পোস্ট সিডিউল করা। দর্শকের মন্তব্য ও ইনবক্সের উত্তর দেওয়া, বিজ্ঞাপন চালানো এবং এনালিটিক্স ব্যবহার করে ফলাফল বিশ্লেষণ করা। একজন দক্ষ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার শুধু পোস্ট দেওয়া নয় বরং কৌশলগতভাবে টার্গেট আকৃষ্ট করা। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর অন্যতম একটি চাহিদা সম্পন্ন সেবা।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টে ছোট ব্যবসা থেকে শুরু করে বড় কর্পোরে ট পর্যন্ত সবাই তাদের ব্র্যান্ড প্রচার এবং বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য প্রেশাদার সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট উপর নির্ভর করে। এই খাতে সৃজনশীলতা, কনটেন্ট রাইটিং, ডিজাইনিং, ট্রেড বোঝার ক্ষমতা ও ডাটা বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা থাকলেই সহজে ভালো ক্যারিয়ার গড়া তোলা সম্ভব। আপনি চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে যে কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং এ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট একটি লাভজনক ক্ষেত্র কারণ ছোট ব্যবসা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো পর্যন্ত তাদের অনলাইন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দক্ষ ব্যক্তির প্রয়োজন করে। আনসার হিসেবে মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারে অথবা কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারে। এমনকি নিজস্ব এজেন্সি খুলে আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের সেবা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

সাইবার সিকিউরিটি সার্ভিস

সাইবার সিকিউরিটি বলতে বোঝায় এমন একটি প্রযুক্তি ব্যবস্থা ও প্রক্রিয়া যা অনলাইনে আমাদের ডেটা ডিভাইস এবং নেটওয়ার্কের সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। এটি মূলত সাইবার আক্রমণ, তথ্য চুরি, ভাইরাস এবং হ্যাকিং থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ডিজাইন করা একটি প্রতিরক্ষা মুলক ব্যবস্থা। সহজ ভাবে বললে সাইবার সিকিউরিটি আমাদের ডিজিটাল দুনিয়ায় নিরাপত্তার জন্য ঢাল হিসেবে কাজ করে থাকে।


আজকাল সাইবার সিকিউরিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হয়ে উঠেছে কারণ এটি আমাদের ব্যক্তিগত, পেশাগত এবং জাতীয় পর্যায়ে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। ডিজিটাল দুনিয়ায় আমরা প্রতিনিয়ত অনেক ধরনের যেটা শেয়ার করি কিন্তু এ ডেটা গুলো সবাই সাইবার অপরাধীদের জন্য একটি বড় লক্ষ হতে পারে। সাইবার সিকিউরিটি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট ধরনের হুমকি এবং আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া।

সাইবার সিকিউরিটি শিখতে কিছু বিশেষ স্কিল আর নলেজ দরকার। এটা এমন একটা ফিল্ড যেখানে টেকনোলজি আর ক্রিয়েটিভিটির কম্বিনেশন প্রয়োজন হয়। সাইবার থ্রেট বুঝতে আর সিকিউরিটির সলিউশন বানাতে কোডিং জ্ঞান থাকা জরুরী। সাইবার সিকিউরিটির বেসিক শিখতে প্রোগ্রামিং জানা খুবই ইমপোর্টেন্ট। নেটওয়ার্কের মূল কনসেপ্ট এবং এর কাজ করার পদ্ধতি জানা প্রয়োজন কারণ সাইবার আক্রমণের অনেকটাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ঘটে থাকে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রজেক্ট

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হল এমন এক ধরনের আবিষ্কার যার মাধ্যমে মানুষের নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে কম্পিউটার দ্বারা অনুপ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। বর্তমান আধুনিক বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার দেখে থাকি। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় রোবট বুদ্ধিমত্তার অনেক বড় একটি আবিষ্কার।

বড় বড় বিভিন্ন কোম্পানিতে বর্তমানে তাদের পণ্যের উপাদান বৃদ্ধির জন্য রোবট ব্যবহার করে থাকে। তাছাড়া বর্তমানে আমরা বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর ওয়েবসাইট দিয়ে নিজেদের দৈনন্দিন জীবনে কাজ করছি।। যেমন Chatpt,midjourny,leonardo ai তাছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমতা নির্ভর ওয়েবসাইট রয়েছে যাদের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি ডিজাইন বানানোর রিসার্চ এর কাজ ইত্যাদিগত সময় করে আসছি।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মূলত কম্পিউটার সাধারণ অ্যালোগারিদম ও মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে কাজ করে থাকে। এটি এম ও মেশিন লার্নিং কাজে লাগিয়ে বিশাল তথ্য ভান্ডার বিশ্লেষণ করে তাদের ফলাফল ও অনুমান জানিয়ে থাকে। মানুষ কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে মেশিন কখনো ক্লান্ত হয় না। আর তাই এটি ব্যবহার করে অনেক বেশি কাজ করে নেওয়া সম্ভব তাও আবার অল্প সময়ের মধ্যে।


এ আই বর্তমানে অসাধারণ উন্নতি করেছে। যার সাহায্যে এই সিস্টেমটি বর্তমান নিয়ে মানুষের ভাষা বুঝতে পারে ছবি চিনতে পারে এমনকি বড় গাড়ি চালাতে পারে। যেটি বিজ্ঞানের একটি আশ্চর্যপূর্ণ আবিষ্কার। যা বর্তমানে আমাদের কাজ থেকে অনেক সহজ করে দিয়েছে ।এছাড়াও কিছু কিছু এআই আমাদের ফ্রন্ট এন্ড রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভয়েস তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি ইত্যাদিকে খুব সহজ করে দিয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি

ফ্রিল্যান্সিং বিশ্বব্যাপী একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় কর্মসংস্থানের মাধ্যমে হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি উচ্চগতির ইন্টারনেট এবং গ্লোবাল কানেক্টিভিটির ফলে মানুষ এখন ঘরে বসে খুব সহজেই বৈশ্বিক বাজারে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। Fiverr,Upwork,freelancer এর মত মার্কেটপ্লেসে কাজ করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। বাংলাদেশেও এই খাতে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করেছে।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর প্রায় বেশিরভাগ দেশের গ্লোবাল ইনকাম এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তির প্রসার এবং রিমোট ওয়ার্কিং কালচারের কারণে কোম্পানিগুলো ফুল টাইম কর্মী নিয়োগের পরবর্তীতে ফ্রিল্যান্সাদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক কাজ করতে বেশি আগ্রহী। ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা যদি লক্ষ্য করা হয় তাহলে ফ্রিল্যান্সিং বাজারে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে অনলাইন কাজের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে পৃথিবীর ডিজিটাল রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং এই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ন অনলাইনে কাজের চাহিদা বেড়িয়ে চলেছে। বর্তমানে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, কন্টেন রাইটিং এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মত কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সারের দিকে ঢলে পড়েছে। ভবিষ্যৎ প্রবণতা আরো বাড়বে এবং অনলাইন কাজের চাহিদা আরো বৃদ্ধি।

শেষ কথাঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর হল ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডাটা এন্ট্রি ও ডাটা ম্যানেজমেন্ট, কন্টেন রাইটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর থেকে শুরু করে এই সমস্ত ক্ষেত্রগুলো দক্ষতা অর্জন করলে অনলাইনে আয় বৃদ্ধি করার সহজ হয়। আপনি চাইলে এর যে কোন একটি স্ক্রিল থেকে আপনার ইনকামের পর তৈরি করতে পারে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সেক্টরগুলোতে শুধু দক্ষতা অর্জন করলে আয় নয় বরং দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী ক্লায়েন্ট বেস্ট তৈরি করাটাও সহজ হয়। এ খাদ গুলোতে ক্রমাগত নতুন প্রযুক্তি ও ট্রেন ফ্রিল্যান্সারের প্রতিযোগিতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এই আর্টিকেলে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সব কিছু তথ্য খুব ভালোভাবে উপস্থাপন করেছি। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন